নৌকা থেকে বাঘে তুলে নিয়ে গেল মৎস্যজীবীকে

গ্রামে খবর এসে পৌঁছলে শশধরের বাবা নিরাপদ মণ্ডল সহ গ্রামের আরও কয়েকজন ওই দুই সঙ্গীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৯ ০২:৪৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

সঙ্গীদের সঙ্গে সুন্দরবনের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘে নিয়ে গেল এক মৎস্যজীবীকে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবনের পঞ্চমুখানি জঙ্গলের কাছে লম্বাবাকির খালে।

Advertisement

সুন্দরবন কোস্টাল থানার অন্তর্গত ১০ নম্বর লাহিড়ীপুর গ্রামের বাসিন্দা শশধর মণ্ডল (২৭) সোমবার ভোরে দুই সঙ্গী প্রভাস মণ্ডল ও কার্তিক মণ্ডলের সঙ্গে সুন্দরবনের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন। সকাল ৭টা নাগাদ তাঁরা পৌঁছন পঞ্চমুখানির জঙ্গলের লম্বাবাকি খালে। সেখানে তাঁরা নৌকা নোঙর করে নৌকার উপর বসেই কাঁকড়া ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আচমকা খালের এক পাড় থেকে লাফ দিয়ে বাঘটি এসে শশধরের ঘাড় কামড়ে ধরে অন্য পাড়ের চরে নিয়ে চলে যায়। এরপর ঢুকে যায় জঙ্গলে। শশধরের অন্য দুই সঙ্গী ঘটনার পর বাকরুদ্ধ হয়ে যান। তাঁরা আর সাহস করে জঙ্গলে নেমে শশধরকে খুঁজতে যাওয়ার সাহস দেখাননি। তড়িঘড়ি সেখান থেকে ফিরে এসে গ্রামে খবর দেন।

গ্রামে খবর এসে পৌঁছলে শশধরের বাবা নিরাপদ মণ্ডল সহ গ্রামের আরও কয়েকজন ওই দুই সঙ্গীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি ওই যুবকের। এ বিষয়ে সুন্দরবন কোস্টাল থানা ও বন দফতরকে জানিয়েছেন নিখোঁজ মৎস্যজীবীর পরিবার। ঘটনার খবর পেয়ে শশধরের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছেন বনকর্মীরা। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা নীলাঞ্জন মল্লিক বলেন, ‘‘এরকম একটা ঘটনার কথা শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেঞ্জ অফিসারকে ঘটনার তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’’ বন দফতর সূত্রের খবর, কোর এরিয়া হওয়ায় ঘটনাস্থলে মাছ কাঁকড়া ধরতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বন দফতরের অনুমতি ছাড়াই ওঁরা ওই এলাকায় মাছ, কাঁকড়া ধরতে ঢুকেছিল বলে দাবি বনকর্মীদের।

Advertisement

ঘটনার বর্ণনা দিতে দিয়ে শশধরের সঙ্গী কার্তিক বলেন, “কাঁকড়া ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। শশধর নৌকার এক মাথায় বসেছিলেন। খালের একপাড় থেকে লাফ দিয়ে এসে বাঘটি শশধরকে নিয়ে যায়। প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে নৌকা কেঁপে ওঠে। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওঁর ঘাড়ে কামড় দিয়ে টানতে টানতে জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে পরে বাঘটি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন