বিজেপি-তৃণমূল সংর্ঘষ, জখম ১৬

পাথরপ্রতিমার হেড়ম্বগোপালপুর পঞ্চায়েতের কুয়েমুড়ি গ্রামে সোমবার বিজেপির প্রার্থী পারুল নস্করের হয়ে প্রচার করছিলেন জনা তিরিশ কর্মী-সমর্থক। তৃণমূল অধ্যুষিত মণ্ডল পাড়ায় ঢুকলে সেখানে তাঁদের পথ আটকানো হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৮ ০১:১৯
Share:

প্রতিবাদ: কাঠুয়া গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষীদের শাস্তি চেয়ে মিছিল। সোমবার ব্যারাকপুুরে। নিজস্ব চিত্র

বিজেপি প্রার্থীর প্রচার ঘিরে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে গেল। জখম হয়েছেন দু’দলের কয়েকজন মহিলা-সহ ১৬ জন। কয়েকজনের আঘাত গুরুতর। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ধে পর্যন্ত থানায় কোনও তরফেই অভিযোগ দায়ের হয়নি।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাথরপ্রতিমার হেড়ম্বগোপালপুর পঞ্চায়েতের কুয়েমুড়ি গ্রামে সোমবার বিজেপির প্রার্থী পারুল নস্করের হয়ে প্রচার করছিলেন জনা তিরিশ কর্মী-সমর্থক। তৃণমূল অধ্যুষিত মণ্ডল পাড়ায় ঢুকলে সেখানে তাঁদের পথ আটকানো হয় বলে অভিযোগ।

হেড়ম্বগোপালপুরের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অর্ধেন্দু ভূঁইয়া বলেন, ‘‘বিজেপির কর্মীরা আমাদের সমর্থকদের পাড়ায় ঢুকলে তাঁরা জানিয়ে দেন, সেখানে আর যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু তা শুনে বিজেপি নেতারা হাঁসুয়া বের করলে মারপিট বেধে যায়। আমাদের ৮ জন আহত হয়েছেন।’’

Advertisement

আহতদের মধ্যে সুজয় মণ্ডলের আঘাত গুরুতর। তাঁকে রায়দিঘি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সুন্দর মণ্ডল, ভবেশ মণ্ডল-সহ আরও কয়েকজন জখম হয়েছেন। তবে তাঁদের অবস্থা গুরুতর নয় বলে মাধবনগর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।

বিজেপির তরফে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, প্রচার সেরে তাঁরা যখন প্রার্থীর বাড়িতে রান্না-খাওয়া করছিলেন, তখন তৃণমূলের প্রায় ৭০ জনের একটি দল এসে আক্রমণ চালায়। বিজেপির সমর্থকেরা প্রতিরোধ করতে গিয়ে জখম হন।

এলাকার বিজেপি নেতা অলোকেশ পুরকাইত বলেন, ‘‘আমাদের সুভাষ মান্না, কমল ভান্ডারি এবং হরেন ভান্ডারি গুরুতর জখম। দুই মহিলা-সহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।’’ তাঁদের সরাসরি ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে আনা হয়।

সুন্দরবন জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, দু’তরফেই মারধর করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত শুরু হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement