Palta TMC Leader Death Case

মাথায় ক্ষতচিহ্ন, পলতায় তৃণমূল নেতার দেহ পড়ে রাস্তায়! খুনের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল এলাকায়

স্থানীয় সূত্রের খবর, হান্নান গাজি এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত। শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ রাস্তা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করেন কয়েক জন। রহস্যমৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৫ ১৪:১১
Share:

শুক্রবার গভীর রাতে রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় হান্নান গাজির দেহ। —নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের এক নেতার দেহ উদ্ধার ঘিরে শোরগোল উত্তর ২৪ পরগনার পলতায়। মৃতের নাম হান্নান গাজি। পরিবারের অভিযোগ, হান্নানকে খুন করে রাস্তায় ফেলে দিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তবে পুলিশ জানাচ্ছে, খুন নাকি দুর্ঘটনা তা তদন্তসাপেক্ষ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, হান্নান এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত। শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পলতা কালিয়ানিবাস রোড এলাকায় হঠাৎ একটি বিকট শব্দ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। কেউ কেউ বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। তাঁরা দেখেন, হান্নান রাস্তার উপরে পড়ে রয়েছেন। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন। কিন্তু আশপাশে আর কাউকে দেখা যায়নি।

হান্নানের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। যুবককে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার আগেই মৃত্যু হয়েছে হান্নানের। মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন দেখে পরিবার এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, হান্নানকে খুন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে যায় টিটাগড় থানার পুলিশ। তারা জানাচ্ছে, রাত ১টা ২০ মিনিট নাগাদ প্রচণ্ড শব্দ পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন। তাঁরা যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। কী ভাবে মৃত্যু হল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শনিবারই ময়নাতদন্ত হবে। সে জন্য তৃণমূল নেতার দেহ পুলিশ মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে টিটাগড় থানার পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় তৃণমূল নেতা সম্রাট টপাদারের বক্তব্য, ‘‘যে কোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। হান্নান এলাকায় জনপ্রিয় এবং ওর প্রভাব ছিল। তাঁকে হঠাৎ রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে স্বাভাবিক ভাবে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ দাবি করছি আমরা। আমাদের মনে হচ্ছে, খুনই করা হয়েছে হান্নানকে। খুন না কি দুর্ঘটনা, না অন্য কিছুর কারণে অকালে চলে যেতে হল ওকে, সেটা পুলিশ খুঁজে বার করুক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement