Kakoli Ghosh Dastidar

দেখেও দেখলেন না ‘দিদির দূত’ কাকলি! অভিমানে দল ছাড়লেন পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ২৩ সদস্য

কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম পালদের অভিযোগ, দুপুর ৩টের সময় পঞ্চায়েতে সংকল্প অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সাংসদের আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে দিয়ে চলে গিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বারাসত শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৫৪
Share:

পঞ্চায়েত অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে কর্মীসমর্থকেরা। অভিযোগ, দেখেও থামেনি কাকলির গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের কর্মসূচির দিন গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনা। আর তার জেরে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন উত্তর ২৪ পরগনার কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩ পঞ্চায়েত সদস্য। নিজেদের ক্ষোভের কথা লিখে তাঁরা সাংসদ তথা বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কাকলিকে চিঠিও পাঠাচ্ছেন। যদিও পুরো ঘটনাকে অনভিপ্রেত বলে বর্ণনা করেছেন সাংসদ।

Advertisement

মঙ্গলবার ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচি উপলক্ষে বারাসতের সাংসদ কদম্বগাছি এলাকায় যান। কর্মসূচির পর স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিসে যাওয়ার কথা থাকলেও বারাসতের সাংসদ কাকলি পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ঢোকেননি বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যায় সাংসদের গাড়ি। এই কারণেই পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ তৃণমূলের ২৬ সদস্যের মধ্যে ২৪ জন তাঁদের পদত্যাগপত্র তৃণমূল ভবন এবং সাংসদকে পাঠিয়ে দেন।

মঙ্গলবার সকালে কদম্বগাছিতে স্থানীয় কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে শীতলামন্দিরে পৌঁছন সাংসদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বারাসতের এক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরশাদুজ্জামান। তাঁর অভিযোগ, সাংসদের গাড়ি থেকে নামার সময় কেউ এক জন তাঁর দিকে পাথর ছুড়েছেন। তিনি জখম হন। এর মধ্যে সাংসদ কদম্বগাছি পঞ্চায়েত কার্যালয় সংলগ্ন একটি অনুষ্ঠানবাড়িতে বিশ্রাম করেন। সেখানে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে যান।

Advertisement

কিন্তু কদম্বগাছি পঞ্চায়েত প্রধান গৌতম পালদের অভিযোগ, পূর্বসূচি অনুযায়ী দুপুর ৩টের সময় পঞ্চায়েতে সংকল্প অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সাংসদের আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে দিয়ে চলে গিয়েছেন। অফিসে আর ঢোকেননি। এমনকি, ওই পঞ্চায়েতের সদস্যদের ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণও করেননি। এই কারণে সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা।

গৌতমের কথায়, ‘‘আমরা ফুলের তোড়া নিয়ে বসে ছিলাম। সাংসদকে শুভেচ্ছা জানাব। ঠিক করে রেখেছিলাম পঞ্চায়েতের কর্মসূচি পালন করা হবে। পরে জানতে পারলাম, তিনি এই কর্মসূচি বাতিল করেছেন। পঞ্চায়েতের সামনে দিয়ে গাড়ি করে চলে যান সাংসদ।’’ তাঁর সংযুক্তি, ‘‘১৯৯৮ সাল থেকে দল করি। এমন ব্যবহারে আমরা ব্যথিত। ভাবতে পারিনি আজ এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের মনে হয়, দলের বোধ হয় আমাদের আর প্রয়োজন নেই।’’

এ নিয়ে সাংসদ অবশ্য দুষেছেন আরশাদুজ্জমানকে। জানান, পাথর ছোড়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। ওই নেতারই কথা ছিল তাঁকে নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে যাওয়ার। কিন্তু তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর জন্য অপেক্ষা করে করে তিনি বেরিয়ে যান। পাশাপাশি, ২৩ পঞ্চায়েত সদস্যের দলত্যাগ প্রসঙ্গে সাংসদের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ইচ্ছে হয়েছে, দিয়েছে (পদত্যাগপত্র)।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন