মিছিলে ভিড় হওয়ায় স্বস্তি তৃণমূল শিবিরে

তৃণমূলের দাবি, ‘‘কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষের অনৈতিক কার্যকলাপে শান্ত বনগাঁকে অশান্ত করে তোলা হচ্ছে। উন্নয়নকে স্তব্ধ করা হচ্ছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৯ ০১:২৭
Share:

প্রতিবাদ-মিছিল: বনগাঁয় তৃণমূলের মিছিল। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।

শান্ত বনগাঁকে অশান্ত করে উন্নয়নকে স্তব্ধ করার চক্রান্তের প্রতিবাদে শহরে মিছিল করল তৃণমূল। ওই প্রতিবাদ মিছিলে কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা হাঁটেন। দলের বহু পুরনো কর্মীকে এ দিন মিছিলে সামিল হতে দেখা গিয়েছে। বনগাঁর সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মিছিলে ভিড় দেখে স্বস্তি ও উৎসাহ পাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

তৃণমূলের দাবি, ‘‘কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষের অনৈতিক কার্যকলাপে শান্ত বনগাঁকে অশান্ত করে তোলা হচ্ছে। উন্নয়নকে স্তব্ধ করা হচ্ছে।’’ লোকসভা ভোটে বনগাঁ শহরে তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছিল। ওই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই দলীয় বিধায়ক ও পুরসভার ১২ জন কাউন্সিলর দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন। জোড়া ধাক্কা সামলে দলকে শক্তিশালী করতে এ দিন থেকেই পদক্ষেপ করল তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবার দলের তরফে বনগাঁর নীলদর্পণ অডিটোরিয়ামে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করা হয়।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে কর্মীরা এ দলের খারাপ সময়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করার শপথ নিয়েছেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছেন, পুরনো দিনের কর্মীদের দলের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি দলের ভাঙণ রোধ করাটাই নেতৃত্বের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ। তৃণমূলের দাবি, এ দিন হাজার পাঁচেক কর্মী সমর্থক মিছিলে সামিল হন। মিছিলে ছিলেন, জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি রতন ঘোষ, পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য, প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ।

Advertisement

বৈঠকে নেতা কর্মীরা দলকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, ‘‘দলে কে থাকলেন, আর কে চলে গেলেন, তাতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।’’ বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও পুরসভার ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর সম্প্রতি দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দিয়ে শুক্রবার শহরে ফিরেছেন। শুক্রবার বিধায়ক ও কাউন্সিলরদের নিয়ে শহরে মিছিল করেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেই প্রেক্ষিতে এ দিনের তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল জরুরি ছিল বলেই মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। শঙ্কর বলেন, ‘‘দলকে শক্তিশালী করতে এমন মিছিলের প্রয়োজন ছিল। উন্নয়নকে সামনে রেখে আমরা এগিয়ে চলব। কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ সেই উন্নয়নকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করছেন। বনগাঁর মানুষ তা মেনে নেবেন না।’’ রতন বলেন, ‘‘দলের কর্মীরাই আমাদের সম্পদ। আজকের মিছিলে পুরনো কর্মীদের উপস্থিতি দেখে আমরা উৎসাহিত হলাম।’’ বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘যাদের জন্য বনগাঁর শান্তি নষ্ট হয়েছিল, এখন তাঁরা ফের শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। শান্তিপ্রিয় বনগাঁবাসী তা হতে দেবেন না।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন