Murder Case

দোল খেলতে ডেকে ক্ষুরের কোপ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যকে, আরজি কর নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু!

স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃতের নাম আকাশ চৌধুরী। তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত। দোল খেলতে ডেকে তাঁকে মারধর করা হয়। তার পর ক্ষুরের কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫ ১৬:৫৯
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

রং খেলতে ডেকে কলেজছাত্রকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে। শুক্রবার ওই ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম পবন রাজভড়। কানাই সাউ নামে অপর এক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃতের নাম আকাশ চৌধুরী। তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত। দোল খেলতে ডেকে তাঁকে মারধর করা হয়। তার পর ক্ষুরের কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আকাশকে। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বিকেলেই কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাস্তাতেই মৃত্যু হয় যুবকের। হাসপাতাল সূত্রের খবর, মৃতের ঘাড়ের কাছে গভীর ক্ষত রয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর তোড়জোড় চলছে।

গন্ডগোলটি হয় দুপুর আড়াইটে নাগাদ। জয়শ্রী কেমিক্যালসের সামনে এক যুবককে ঘিরে ধরে মারধরের অভিযোগ ওঠে। কিছু ক্ষণ পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করেন স্থানীয়েরা। যুবকের বাড়ির লোকজন যান। সকলে মিলে তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে যান। কিন্তু আরজি করে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, আগেই মৃত্যু হয়েছে যুবকের। মৃতের পরিবারের দাবি, মোট তিন জন এই খুনের সঙ্গে জড়িত। আকাশের দাদা বলেন, ‘‘ভাই বাড়ি থেকে ফিরছিল। সামনে একটি গন্ডগোল হয়েছিল। ও আমাকে বলেছিল, ‘বাড়ি যাও। আসছি।’ আমি বাড়ি এসে খেতে বসেছি। হঠাৎ শুনলাম, ভাইকে মেরে রক্তাক্ত করে দিয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তারবাবু বলে দেন, আমার ভাই আর নেই!’’

Advertisement

জানা যাচ্ছে, মৃতের বয়স ২৪ বছর। তিনি ব্যারাকপুর মহাদেবানন্দ কলেজের ছাত্র। ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জানান, ওই যুবক ছাত্র রাজনীতি করতেন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘যে ওকে মেরেছে, সে ক্রিমিনাল। পুরনো একটি গন্ডগোল ছিল বলে শুনেছি। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’’

ইতিমধ্যে খড়দহ থানার পুলিশ এক জনকে গ্রেফতার করেছে। কী থেকে এই গন্ডগোল, খুনের কারণ কী, তদন্ত করছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement