ট্রাক চালককে মার, বন্ধ বাণিজ্য

ট্রাক চালককে মারধরের জেরে বসিরহাটের ঘোজাডাঙায় বুধবার থেকে সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ। ইছামতী সেতু থেকে ঘোজাডাঙা পর্যন্ত ওল্ড সাথক্ষিরা রাস্তায় কয়েকশো ট্রাক দাঁড়িয়ে পড়েছে। বসিরহাট থানার আইসি গৌতম মিত্র জানান, কে আগে যাবে, তা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে এক ট্রাক চালককে মারধর করা হয়। ওই ঘটনার জেরে বিক্ষোভ শুরু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৩৮
Share:

ওল্ড সাথক্ষিরা রোডে দাঁড়িয়ে আছে ট্রাকের সারি। —নিজস্ব চিত্র।

ট্রাক চালককে মারধরের জেরে বসিরহাটের ঘোজাডাঙায় বুধবার থেকে সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ। ইছামতী সেতু থেকে ঘোজাডাঙা পর্যন্ত ওল্ড সাথক্ষিরা রাস্তায় কয়েকশো ট্রাক দাঁড়িয়ে পড়েছে।

Advertisement

বসিরহাট থানার আইসি গৌতম মিত্র জানান, কে আগে যাবে, তা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে এক ট্রাক চালককে মারধর করা হয়। ওই ঘটনার জেরে বিক্ষোভ শুরু হয়। তবে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনার পরে মীমাংসা সূত্র মেলে। তবে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সব পক্ষকে নিয়ে মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে বলেও জানিয়েছেন গৌতমবাবু।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত পচনশীল অর্থাৎ মাছ, ফল, পানের মতো সামগ্রী-বোঝাই ট্রাক আগে ছাড়া হয়। এই কাজ মূলত করে এলাকার কিছু যুবক। কিন্তু এর ফলে অন্য গাড়িগুলিকে ২-৫ দিন, এমনকী তারও বেশি সময় ধরে ঘোজাডাঙায় অপেক্ষা করতে হয়। এ জন্য অপেক্ষারত গাড়ি মালিকদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। আগে এসে লাইনে দাঁড়ানো গাড়ি আগে ছাড়তে হবে বলে কিছু দিন ধরেই দাবি উঠছিল।

Advertisement

ট্রাক চালকদের দাবি, অনেক সময়ে কাঁচা মাল আছে বলে কেউ কেউ টাকার বিনিময়ে ট্রাক আগে ছেড়ে দেয়। বুধবার তার প্রতিবাদ করলে স্থানীয় কিছু যুবক এক চালককে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাবুসোনা গাজি নামে ওই চালকের চিকিৎসা করানো বসিরহাট জেলা হাসপাতালে।

ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে ট্রাক চালকেরা ওল্ড সাথক্ষিরা রাস্তার উপরে গাড়ি দাঁড় করে বিক্ষোভ শুরু করেন। বৃহস্পতিবার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। কিন্তু ওই যুবকেরা যে টাকা নিয়ে এই কাজ চালাচ্ছে, তা নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন নীরব কেন? এই কাজ তো প্রশাসনের তরফেও করা যেত। এ বিষয়ে মহকুমা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

কচ্ছপ উদ্ধার বনগাঁয়। ফের বনগাঁ থেকে মিলল কচ্ছপ। এ বার ঘটনাস্থল শিমুলতলার একটি ঘর। বুধবার রাতে ওই ঘরে হানা দিয়ে পুলিশ প্রায় ৫০০টি কচ্ছপ উদ্ধার করে। কিন্তু অভিযুক্তদের কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। তারা পলাতক। পুলিশের অনুমান, কচ্ছপগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রির জন্য অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ট্রাকে করে আনা হয়েছিল। তদন্তকারীরা জানান, শিমুলতলাতে দীর্ঘদিন ধরেই একটি কচ্ছপ পাচার চক্র সক্রিয়। উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলির দাম প্রায় এক লক্ষ টাকা। সেগুলিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এর আগেও বনগাঁর বিভিন্ন এলাকা থেকে কচ্ছপ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন