প্রতিবাদ: কাটিয়াহাটে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
মোটরবাইকে ধাক্কা মারায় এক ট্রাক চালককে মারধরের অভিযোগ উঠল সাতজনের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই লরি চালক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে বাদুড়িয়া থানার হরহাটি গ্রামে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বৃহস্পতিবার দুপুরে কাটিয়াহাট মোড়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও ট্রাক চালকেরা বিক্ষোভ-অবরোধ শুরু করেন। প্রায় এক ঘণ্টা বিক্ষোভ-অবরোধ চলে। এর প্রভাব পড়ে সীমান্ত বাণিজ্যে।
পুলিশ জানায়, বাসুদেব জিবালজি লঙ্কার নামে নাগপুরের বাসিন্দা জখম ওই ট্রাক চালককে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনার পর অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার ফিরোজ আলি গাজি এবং তাঁর আত্মীয় আয়ুব আলি সর্দারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বসিরহাট আদালতে তোলা হলে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বাংলাদেশ থেকে ট্রাক নিয়ে ফিরছিলেন বাসুদেববাবু। জহরপুর গ্রামের কাছে আয়ুব আলির বাইকের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা লাগে। অভিযোগ, গাড়ি না দাঁড় করিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন বাসুদেববাবু। তা দেখে আয়ুব আলি সর্দার কয়েকজনকে ওই ট্রাকের পিছু ধাওয়া করেন। সঙ্গে ফিরোজও ছিলেন। গতি থাকায় কাটিয়াহাটের কাছে আরও একটি বাইকে মারে ট্রাকটি। আর পালাতে পারেননি বাসুদেববাবু। হরহাটি মোড়ের কাছে ফিরোজরা ট্রাকটি আটকান।
পুলিশ জানায়, ফিরোজরা ট্রাক থেকে নামিয়ে বাসুদেববাবুকে বেধড়ক মারেন। তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ট্রাকে ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। গোলমালের খবর পেয়ে গ্রামের মানুষজন বেরিয়ে এলে এলাকা ছেড়ে ফিরোজরা পালিয়ে যায়। রাস্তার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ট্রাক চালককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। ট্রাকচালক করিম গাজি, কমল পাত্র এবং উত্তম মণ্ডলদের অভিযোগ, ‘‘সম্প্রতি কাদারবিল ও জহরপুর-সহ কয়েকটি এলাকা সন্ধ্যার পরে সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ স্থানীয় ও বহিরাগত দুষ্কৃতীদের দখলে চলে যাচ্ছে। ওই পথ দিয়ে যাওয়া ট্রাক চালকদের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করা হচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।’’ অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।