রাস্তায় ফেলে জেলার দুই বিজেপি নেতাকে পেটানোর অভিযোগ উঠল অজ্ঞাতপরিচয় যুবকদের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় গাইঘাটার ধর্মপুর বাজারের কাছে যশোর রোডে ঘটনাটি ঘটে। জেলা পুলিশ সুপার সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সন্ধ্যায় ঠাকুরনগর থেকে দলের কাজকর্ম সেরে হাবরার দিকে যাচ্ছিলেন জেলা সহ-সভাপতি বিপ্লব হালদার এবং সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। বিপ্লববাবু মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন। পিছনে বসেছিলেন শঙ্করবাবু। সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ গোপালপুরের কাছে ফাঁকা এলাকায় কয়েকজন যুবক বাইকে করে তাঁদের পিছু নেয়। অভিযোগ, তারা শঙ্করবাবুকে টেনে নামানোর চেষ্টা করে। তখন বিপ্লববাবু বাইকের গতি বাড়িয়ে দেন। বিপ্লববাবুর অভিযোগ, ‘‘ধর্মপুর বাজারের কাছে আসতেই ওরা বাইক নিয়ে ঘিরে ফেলে। তখন আমি বাইক সামলাতে না পেরে পড়ে যাই। তার পরে ওরা আমাদের যথেচ্ছ ভাবে মারধর করে। শঙ্করবাবুর নাক ফেটে যায়। সোনার চেনও ওরা কেড়ে নিয়েছে।’’ স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেয়।
থানায় লিখিত অভিযোগে বিপ্লববাবু জানিয়েছেন, ঘটনার পিছনে স্থানীয় ঠাকুরনগর এলাকার বাসিন্দা মনোজস্পতি দেব নামে এক যুবকের ভূমিকা রয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোজস্পতিবাবু কয়েক মাস আগেও দলের বারাসত যুব মোর্চার সভাপতি ছিলেন। মাস তিনেক আগে দল তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক মনোজস্পতিবাবু। তিনি বলেন, ‘‘অসুস্থার কারণে রবিবার পর্যন্ত আমি বিছানা ছেড়ে উঠতে পারিনি। তা ছাড়া বিপ্লববাবু ও শঙ্করবাবুর সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। বরং তাঁদের নেতৃত্বেই আমি চলি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কেন তাঁরা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন তা নিয়ে বুঝতে পারছি না। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাব।’’