শুক্র ও শনিবার পুলিশের দুই ‘মুখ’। সোনারপুরে শশাঙ্ক মণ্ডলের তোলা ছবি।
একই অঙ্গে কত রূপই না দেখাতে পারে পুলিশ!
দু’দিনে সামান্য সময়ের ব্যবধানে একই এলাকায় ‘বহুরূপী’ পুলিশ কখনও হয়ে ওঠে দরদী, কখনও বা প্রকট হয়ে ওঠে পুলিশের দাদাগিরি!
হেলমেট কেনার জন্য শুক্রবার এক বাইক আরোহীকে নিজের মানিব্যাগ খুলে কড়কড়ে ৫০০ টাকার নোট বের করে দিতে চেয়েছিলেন পুলিশকর্মী। দেখিয়েছিলেন গাঁধীগিরি। আর আজ, শনিবার ওই একই এলাকায় আইন ভাঙার অভিযোগে এক বাইক আরোহীকে বেধরক মারধর করলেন পুলিশকর্মীরা।
পুলিশকে যে বুঝে ওঠা সত্যি-সত্যিই ভগবানেরও অসাধ্য, শুক্র ও শনিবার তা আরও এক বার প্রমাণিত হল সোনারপুরে।
শুক্রবার এক ভদ্রলোক তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে বাইকে চেপে যাচ্ছিলেন ওই রাস্তা দিয়ে। কারও মাথাতেই কোনও হেলমেট ছিল না। পুলিশ তাঁদের বাইক থামায়। তার পর নিজের মানিব্যাগ খুলে এক পুলিশকর্মীকে কড়কড়ে ৫০০ টাকার নোট গুনে দিতে দেখা যায় ভদ্রলোককে। পুলিশকর্মীটি ওই ভদ্রলোককে বলেন, ‘‘টাকা দিয়ে হেলমেট কিনে নেবেন প্লিজ।’’ তাতে লজ্জিত হয়ে পড়ে গোটা পরিবার। পুলিশের কাছ থেকে টাকা না নিয়ে বাইক না চালিয়ে হেঁটে হেঁটেই তাঁদের গন্তব্যে চলে যায় পরিবারটি। পুলিশের গাঁধীগিরিতে অবাক হয়ে যান আশপাশে থাকা মানুষজন।
আরও পড়ুন- ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত তৃণমূল প্রধানের ছেলে
আরও পড়ুন- জালিয়াতির অভিযোগ অনির্বাণের বিরুদ্ধে
সেই গাঁধীগিরির পর শনিবার পুলিশের কাছ থেকে দাদাগিরি আশা করেননি সোনারপুরের মানুষ। এ দিন পুলিশ যখন অটোর কাগজপত্র পরীক্ষা করছিল, সেই সময় হেলমেট না পরে এক আরোহীকে বাইক চালিয়ে আসতে দেখা যায়। পুলিশ তাকে থামতে বললে, সেই বাইক আরোহী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পিছু ধাওয়া করে পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। তার পর তাঁকে বাইক থেকে নামিয়ে প্রচণ্ড মারধর করে বলে অভিযোগ।
তবে বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার অরিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘শুক্র ও শনিবার অটো ও বাইকের দৌরাত্ম্য বন্ধ করার জন্য আমরা অভিযান চালিয়েছি। বেশির ভাগ অটোরই কোনও বৈধ কাগজপত্র নেই বলে শুনেছি। তবে বাইক আরোহীকে মারধরের কোনও ঘটনার কথা আমার জানা নেই।’’