কলেজে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল ছাত্রদের দুই গোষ্ঠী

কলেজ চত্বরে সাইকেল রাখা নিয়ে টিএমসিপি-র দুই গোষ্ঠীর মারামারিতে জখম হল কয়েকজন। মঙ্গলবার এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় অশোকনগরের নেতাজি শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয় চত্বরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৩০
Share:

আহত: হাসপাতালের পথে একজন। নিজস্ব চিত্র

কলেজ চত্বরে সাইকেল রাখা নিয়ে টিএমসিপি-র দুই গোষ্ঠীর মারামারিতে জখম হল কয়েকজন। মঙ্গলবার এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় অশোকনগরের নেতাজি শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয় চত্বরে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, বহিরাগত, কলেজ পড়ুয়া-সহ দু’পক্ষের ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। দুই ছাত্রের মাথা ফেটেছে। তাঁরা চিকিৎসাধীন। তদন্ত শুরু হয়েছে।

গোটা ঘটনায় তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব ক্ষুব্ধ। দলের জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে। যারা দোষ করেছে, পুলিশকে তাদের গ্রেফতার করতে হবে।’’ তিনি জানান, অশোকনগর কলেজের সংর্ঘষের বিষয়টি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও জানানো হয়েছে।

Advertisement

কলেজের অধ্যক্ষ সুধানাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ দিন বহিরাগতেরা কলেজে ঢুকে ছাত্রদের মারধর করেছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।’’ কলেজ সূত্রের খবর, অধ্যক্ষ যেন থানায় অভিযোগ না করেন, সে জন্য তাঁকে ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

কলেজের ছাত্র সংসদ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দখলে। বিরোধী ছাত্র সংগঠনের অস্তিত্ব নেই। এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ ছাত্র সংসদের অফিসের কাছে কয়েকজন ছাত্রী সাইকেল রাখতে যান। তাঁদের সাইকেল রাখতে বাধা দেয় কিছু ছাত্র। শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, এরপরেই বাইরে থেকে বেশ কিছু যুবক লাঠিসোটা নিয়ে কলেজে ঢুকে পড়ে ছাত্রদের মারধর শুরু করে। গণ্ডগোল শুরু হয়।

অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্রের যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ সিংহ বলেন, ‘‘তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্যের সভাপতি নেত্রী জয়া দত্তের ইন্ধনে এ দিন বহিরাগতরা ছাত্রদের উপরে হামলা চালিয়েছে।’’ জয়াদেবীর বাড়ি অশোকনগরেই। তিনি ওই কলেজের প্রাক্তন ছাত্রীও।

এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওই কলেজে আমি লেখাপড়া করেছি। কলেজের সকলের সঙ্গেই আমার সুসম্পর্ক। এ দিনের ঘটনা খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি। কলেজে কোনও অন্যায় প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement