—প্রতীকী ছবি।
পাড়ার মধ্যে বেআইনি ভাবে মদ বিক্রিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তোষ দানা বাঁধছিল।
শুক্রবার রাতে এক যুবকের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সেই অসন্তোষকে সামনে রেখে পথে নামলেন নিমতার রামপ্রসাদনগরের মহিলারা। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে শনিবার নিমতা থানায় জমা দিলেন স্মারকলিপি।
রামপ্রসাদনগরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, অপু ঘোষ ও তাঁর ছেলে টুবু ঘোষ দীর্ঘদিন ধরেই বেআইনি ভাবে নিজেদের বাড়ি থেকে মদ বিক্রি করেন। যার জেরে পাড়ার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা অমিতাভ শিকদার জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ স্কুল মোড়ে যখন তিনি মোবাইলে কথা বলছিলেন, তখন মদ বিক্রিকে কেন্দ্র করে তাঁর সঙ্গে টুবুর বচসা বাধে। এর পরে দলবল নিয়ে টুবু অমিতাভের বাড়িতে চড়াও হন বলে অভিযোগ। অমিতাভ বলেন, ‘‘আমাদের বাড়ি লক্ষ্য করে টুবুরা ইট, পাথর ছোড়ে। মদ বিক্রির বিরোধিতা করেছিলাম বলে হামলা করল।’’
শনিবার সকালে আগের রাতের গণ্ডগোলের কথা জানাজানি হতেই পাড়ার মহিলারা একজোট হয়ে থানায় স্মারকলিপি জমা দেন। তাতে বাসিন্দারা লিখেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে পাড়ায় বেআইনি মদের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। এলাকার মহিলারা আতঙ্কিত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।’ এ ধরনের বক্তব্যের কারণ ব্যাখ্যা করে স্থানীয় বাসিন্দা চৈতালি মিত্র বলেন, ‘‘রাত ১০টার সময়ে কলিং বেল বাজিয়ে লোকে জিজ্ঞাসা করছে, আমার বাড়িতে মদ পাওয়া যায় কি না! কেউ আবার কলিং বেল বাজিয়ে মদ খাওয়ার জন্য জল চাইছে। এটা কি একটা সুস্থ পরিবেশ?’’ মৌমিতা শীল নামে আর এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘সন্ধ্যার পরে ওই গলি দিয়ে আর মেয়েরা যাতায়াত করতে পারে না। রাস্তায় অনেক সময়ে ভাঙা বোতল, মদ পড়ে থাকে।’’
শুক্রবার রাত থেকে টুবু ও তাঁর বাবা অপু ঘোষ এলাকাছাড়া। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে টুবু বলেন, ‘‘মদের ব্যবসা শুক্রবার রাতেই বন্ধ করে দিয়েছি। অমিতাভের বাড়ি ভাঙচুরে আমার কোনও হাত নেই।’’ তবে বৈধ লাইসেন্স ছাড়া যে তিনি এত দিন মদের ব্যবসা করছিলেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন টুবু। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওই এলাকা উত্তর দমদম পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর প্রণব ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা দলগত ভাবেই বেআইনি ভাবে মদ বিক্রির বিরোধী। অবিলম্বে এ সবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি।’’