জল জমে চাষের দফারফা। ছবি: দিলীপ নস্কর।
নিকাশির জন্য রয়েছে স্লুইস গেট। কিন্তু তা অকেজো। ফলে জল জমে রয়েছে এলাকায়। হাজার হাজার বিঘা চাষের জমিও জলমগ্ন। ভরা মরসুমে বন্ধ চাষবাস।
মগরাহাট ২ ব্লকের উড়েলচাঁদপুর, ধনপোতা পঞ্চায়েত এলাকার এই অবস্থা হওয়ায় কৃষকেরা সমস্যায় পড়েছেন। ওই দুই পঞ্চায়েত এলাকা-লাগোয়া মগরাহাটে রয়েছে কাটাখাল। ওই খালটি মগরাহাট খাল হয়ে ডায়মন্ড হারবার হুগলি নদী সংযোগ খালের সঙ্গে মিশেছে। কৃষিজমির জল নিকাশির জন্য বহু বছর আগে স্লুইস গেট বসানো হয়েছিল কাটাখালের পাড়ে। তাতে সহজেই জল বেরিয়ে যেত। এলাকায় ২৫-৩০টি স্লুইস গেট খারাপ। সেগুলি সারানোর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
ফি বছর বর্ষার সময় মাঠে কোমর সমান জল দাঁড়িয়ে যায়। ওই এলাকায় মাঠ রয়েছে নোনাতলার মাঠ, দাউজির মাঠ, লাউরঘেরির মাঠ, পূর্বের মাঠ। কৃষি জমি প্রচুর। কিন্তু তাতে চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না। চাষিরা নিজেদের জীবিকা ছেড়ে অন্য পেশার খোঁজে রয়েছেন। ভিন রাজ্যে পাড়িও দিচ্ছেন অনেকে।
স্থানীয় বাসিন্দা মহাদেব বাগ, সঞ্জয় মাখালরা জানান, তাঁদের ১০-১৫ বিঘা কৃষি জমি রয়েছে। কিন্তু জল না নামায় বীজতলাই তৈরি করতে পারেননি। তা ছাড়া, কোমর সমান জলে চাষ করাও যাচ্ছে না। তাঁদের আরও অভিযোগ, এক সময়ে খালে চড়া পড়ে যাওয়ায় নিকাশি সমস্যা ছিল। এ বারে খাল সংস্কার হয়েছে ঠিকই। কিন্তু স্লুইস গেট অকেজো হওয়ায় সমস্যা থেকেই গেল। তাঁরা বলেন, ‘‘আমরা ১০-১৫ বছর ধরে কৃষি জমিতে বর্ষার চাষ করতে পারছি না। সমস্যার বিষয়ে পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসন— সকলকেই জানানো হয়েছে। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, স্লুইস গেটগুলি সংস্কারের জন্য সেচ দফতরকে বলা হয়েছে।
সেচ দফতরের মগরাহাট সাব ডিভিশনের সহকারী বাস্তুকার দীপক দাস বলেন, ‘‘ওই এলাকায় সমস্ত স্লুইস গেট সংস্কারের জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।’’