দিন কয়েক আগে উদ্ধার হয়েছিল সাগরদ্বীপের হারাধনপুর গ্রামের বধূ সন্ধ্যারানি জানার দেহ। তাঁকে খুনের অভিযোগে সোমবার সাগরদ্বীপেরই সুমতিনগর থেকে শঙ্কর দাস নামে ওই যুবককে ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সন্ধ্যারানি ও শঙ্করের মধ্যে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল। এর জেরেই শঙ্কর ওই মহিলাকে খুন করে বলে অনুমান। পুলিশের দাবি, জেরায় শঙ্কর জানিয়েছেন, ২৪ মে সন্ধ্যা স্থানীয় বাজারে এসে শঙ্করকে প্রস্তাব দেয় কেরলে পালিয়ে যাওয়ার জন্য। তা নিয়ে দু’জনের ঝগড়া হয়। তারপরেই শঙ্কর ওই মহিলার গালে চড় মারেন। তাতে অজ্ঞান হয়ে গেলে শঙ্কর ওই মহিলাকে সেচ দফতরের পুকুরের পাশে গিয়ে মাথায় জল দিয়ে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সাড়াশব্দ না মেলায় পুকুরে ফেলে দেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তখনও দেহে প্রাণ ছিল সন্ধ্যাদেবীর। জলে ডুবেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।