দুপুর দেড়টা। স্নান সেরে প্রত্যেকদিনের মতো ঠাকুর ঘরে ঢুকেছিলেন পুজো দিতে। ওই সময় বাড়িতে আসে তাঁর বছর আঠারোর সৎ ছেলে। কোনও কিছু বোঝার আগেই ধারাল একটি অস্ত্র নিয়ে সে ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপরেই মাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। মায়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে গেলে দরজা খুলে ছেলে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা ওই মহিলাকে উদ্ধার করে বারাসত হাসপতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দত্তপুকুরের নেতাজিপল্লিতে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম নমিতা দাস (৪০)। মাকে খুনের অভিযোগে পুলিশ ওই এলাকার একটি বাড়ি থেকে ছেলে মহাদেব ওরফে অসীমকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে ওই এলাকার বাসিন্দা অশোক দাস নমিতাদেবীকে বিয়ে করেন। নমিতাদেবীরও অতীতে বিয়ে হয়েছিল। তাঁর প্রথম পক্ষের একটি ছেলে রয়েছে। অশোকবাবুর আগের পক্ষের দুই ছেলে মহাদেব ও সহদেব। অশোকবাবুর রঙের কাজ করেন। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে মহাদেব তাঁর সৎ মাকে সহ্য করতে পারত না। এ নিয়ে মহিলার সঙ্গে ছেলের সবসময় বিবাদ চলত।
পুলিশের অনুমান, তার জেরেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। তবে খুনটি পরিকল্পিত হতে পারে বলে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরা মনে করছেন।