Woman murdered

ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই খুন জগদ্দলের বধূ! দিঘার হোটেল থেকে গ্রেফতার যুবক ও লিভ ইন সঙ্গিনী

দীপশেখর বসু নামে ওই যুবক ও তাঁর লিভ ইন সঙ্গিনী সুস্মিতা রায়কে দিঘার হোটেল থেকে গ্রেফতার করেছে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

জগদ্দল শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৫৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

নাচের প্রশিক্ষক ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে পচাগলা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের সেই বধূ। যেখানে নাচ শেখাতেন মহিলা, সেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মালিকের সূত্রে পরিচয় হওয়া এক যুবক ও তাঁর লিভ-ইন সঙ্গিনী তাঁকে দিঘার হোটেলে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই উঠেছে। তার ভিত্তিতে দীপশেখর বসু নামে ওই যুবক ও তাঁর লিভ ইন সঙ্গিনী সুস্মিতা রায়কে দিঘার হোটেল থেকে গ্রেফতার করেছে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ। ধৃতদের বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর নিমতলা ঘাট রোডের বাসিন্দা ছিলেন মৃতা সুপ্রিয়া ঘোষ (২৯)। গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৫টা থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না বলে দাবি পরিবারের। ঠিক তার পরের দিন অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর জগদ্দল থানায় স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার কথা লিখিত ভাবে জানান সুপ্রিয়ার স্বামী অতনু ঘোষ। এর পরেই পূর্ব মেদনীপুরের রামনগর রেল স্টেশনের কাছে সুটকেসবন্দি সুপ্রিয়ার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। স্বামী অতনু কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে স্ত্রীর দেহ শনাক্ত করেন। ঘটনার তদন্তভার নেয় ব্যারাকপুর কমিশনারেট।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুরের একটি শরীরচর্চা এবং নাচের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক ছিলেন সুপ্রিয়া। ওই কেন্দ্রের কর্ণধারের মারফত তাঁর সঙ্গে বরানগরের দীপশেখরের পরিচয় হয়। সুপ্রিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দীপশেখরের। অন্য দিকে, বরানগরের একটি ভাড়াবাড়িতে সুস্মিতার সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন দীপশেখর । সুপ্রিয়ার সঙ্গে দীপশেখরের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে আপত্তি জানান সুস্মিতা। এর পরেই তাঁরা সুপ্রিয়াকে খুনের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মাফিক সুপ্রিয়াকে দিঘার হোটেলে নিয়ে যান দীপশেখর । সেখানেই সুস্মিতাকে সঙ্গে নিয়ে সুপ্রিয়াকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তিনি। খুনের তদন্তে নেমে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এই ঘটনায় দীপশেখরের যুক্ত থাকার একাধিক সূত্র উদ্ধার করে। দিঘার একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, এই ঘটনায় দু’জন ছাড়াও আর কেউ যুক্ত কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার আলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘গৃহবধূ নিখোঁজের তদন্ত নেমে দেহ উদ্ধারের পর দিঘার হোটেল থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’ অন্য দিকে, সুপ্রিয়ার অন্য কারও সঙ্গে কোনও সম্পর্কের কথা নিজে কিছু জানতেন না বলেই জানিয়েছেন অতনু। তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিয়ার কারও সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে আমার জানা নেই। অন্য কোনও কারণে খুন করা হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হোক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন