এলাকায় পানশালা, প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা

ডায়মন্ড হারবারের এসডিও দেবময় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওখানে পানশালা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে কিনা খোঁজ নিয়ে দেখছি। গ্রামবাসীদের আপত্তি থাকলে সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জয়নগর শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:১৯
Share:

বিক্ষোভ: মগরাহাটে। নিজস্ব চিত্র

রাস্তার ধারে বেশ কিছুদিন ধরে তৈরি হচ্ছিল বাড়িটা। প্রথমে গ্রামের মানুষ বোঝেননি। পরে তাঁরা জানতে পারেন ওই বাড়িতে তৈরি হচ্ছে পানশালা। যা মেনে নিতে পারেননি স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

রবিবার এরই প্রতিবাদে পথে নামেন মগরাহাট থানার মুলটি অঞ্চলের তসরালা-তাঁতিহাটি গ্রামের মহিলা ও পুরুষেরা। এ দিন তসরালা মোড়ে প্রতিবাদ সভা

শেষে নির্মীয়মাণ ওই বাড়িটি পর্যন্ত মিছিলও করেন তাঁরা। এ দিন এলাকার মানুষ আবগারি দফতরে স্মারকলিপিও জমা দেন।

Advertisement

ডায়মন্ড হারবারের এসডিও দেবময় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওখানে পানশালা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে কিনা খোঁজ নিয়ে দেখছি। গ্রামবাসীদের আপত্তি থাকলে সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।’’

জয়নগরের সরবেড়িয়া সাহাপাড়া মোড় থেকে তসরালা যাওয়ার পথে রাস্তার ধারেই তৈরি হচ্ছে এই পানশালা। এর জন্য গ্রামবাসীরা মিলিত ভাবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগও করছেন। তবে কোনও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে প্রতিবাদী

মঞ্চ গড়ে রাস্তায় নেমেছেন তাঁরা। এ দিন তসরালা মোড়ে প্রতিবাদ

সভায় কয়েক’শো গ্রামবাসী যোগ দেন। ছিলেন গ্রামের মহিলারাও। এলাকা জুড়ে মাদকবিরোধী নানা কর্মসূচিও নিয়েছে গ্রামবাসীদের প্রতিবাদী মঞ্চ।

প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্য সোমনাথ গায়েন বলেন, ‘‘১০০ মিটারের মধ্যে মন্দির, ২৫০ মিটারের মধ্যে শ্মশান, এক কিলোমিটারের মধ্যে একটি গার্লস স্কুল এবং একটি উচ্চ বিদ্যালয় আছে। স্কুলের ছেলেমেয়েরা সবাই এই পথ দিয়েই যাতায়াত করে। গ্রামবাসীরাও যাওয়া আসা করছেন। এরকম জায়গায় মদের দোকান কী ভাবে তৈরি হতে পারে!’’

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন গায়েন জানান, এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে মদ বিক্রি হয়। তার জন্য নানা অশান্তি লেগেই আছে। প্রশাসন সেটা বন্ধ করতে পারছে না। তার ওপর লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান হলে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা থাকবে না। পরিবেশ ও আইনশৃঙ্খলারও অবনতি ঘটবে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন