প্রতীকী ছবি।
একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠল ডায়মন্ড হারবারে। কপাটহাট মোড়ের কাছে ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ বিভিন্ন মহলে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন রোগীর পরিবার।
স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পারুলিয়া কোস্টালের কামারপোল গ্রামের বছর পঁয়ত্রিশের আসমা বিবি পেটের ব্যথা নিয়ে ২৩ মার্চ ভর্তি হন ডায়মন্ড হারবারের ‘সুস্থ’ নার্সিংহোমে। অস্ত্রোপচারের প্রায় এক মাস পরে ২০ এপ্রিল তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়।
কিন্তু রোগ নিরাময় হয়নি। পেটের ব্যথা নিয়েই ফের তিন দিন পরে, ২৩ এপ্রিল ওই নার্সিংহোমের ভর্তি হন আসমা। দ্বিতীয় বার অস্ত্রোপচারের পরে ৫ মে তাঁকে ছুটি দেয় নার্সিংহোম।
পরিবারের দাবি, দু’দফায় প্রায় ১ লক্ষ টাকার বিল ধরানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও নিরাময় হয়নি। পরিবারের লোকজন জানান, ৮ মে এ বার আসমাকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, নার্সিংহোমে ভুল চিকিৎসা হয়েছিল। এসএসকেএম অবশ্য ভর্তি করানো যায়নি রোগিণীকে। নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএসে। পরিবারের দাবি, এখানেও চিকিৎসকেরা জানান, নার্সিংহোমে ভুল চিকিৎসা হয়েছিল। এখনও এনআরএস-এই ভর্তি আসমা। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানালেন তাঁর স্বামী হান্নান গায়েন।
তাঁর অভিযোগ, ওই নার্সিংহোম ভুল চিকিৎসা করে দফায় দফায় প্রায় ১ লক্ষ টাকা নিয়েছে। কিন্তু রোগ সারাতে পারেনি। ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য আধিকারিক ও পারুলিয়া কোস্টাল পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন হান্নান।
অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি নার্সিংহোমের ম্যানেজার অনুপ মণ্ডল। তাঁর দাবি, ‘‘আমরা জটিল সমস্যা বলেই অস্ত্রোপচার করতে চাইনি। কিন্তু ওঁদের অনুরোধে করতে বাধ্য হয়েছি। এখনও পর্যন্ত রোগীর কাছে থেকে ২৫ হাজার টাকা পেয়েছি।’’ চিকিৎসার সমস্ত নথিপত্র তাঁদের কাছে মজুত আছে বলে জানিয়েছেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ মণ্ডল বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।’’