সুজল ঘোষ।
বাড়িতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। শনিবার গভীর রাতে গাইঘাটার ঠাকুরনগরের আনন্দপাড়ার নিজের বাড়ির শোবার ঘর থেকে ওই যুবকের দেহ মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুজল ঘোষ (২৬)। তাঁর মাথায় গুলি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল এবং দু’রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। বনগাঁর এসডিপিও বিশ্বজিৎ মাহাতো বলেন, ‘‘নিহত যুবকের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গণেশবাবুর দুই ছেলে। কয়েক বছর আগে বড় ছেলে উজ্জ্বল ঘোষ সাংসারিক অশান্তির কারণে শ্বশুরবাড়িতে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গণেশবাবু পেশায় চাষি। বাড়ির পাশেই তাঁর আর এক ছেলে সুজলের মুদিখানা এবং মোবাইল রিচার্জের দোকান। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে সুজল বাড়ি ফিরে ঘুমাচ্ছিলেন। কাঠের দরজা ভেজানোই ছিল। গণেশবাবু ও তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্নাদেবী সুজলের ভাইপো অরূপ বারান্দায় শুয়েছিলেন। চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া অরূপ রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ কাকার ঘর থেকে একটি শব্দ শুনতে পায়। সকলে উঠে গিয়ে দেখেন, মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে সুজল। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। বাড়িটি ইটের দেওয়ালের। উপরে টিন। ঘরের দরজাগুলি কাঠের। জানালায় কোনও রড নেই। সেখান দিয়েই আততায়ী ঢুকে থাকতে পারে। ওই যুবককে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।জ্যোৎস্নাদেবী বলেন, ‘‘ওর কোনও শত্রু ছিল বলে জানতাম না। কারা আমার এমন ক্ষতি করল, বুঝতে পারছি না।’’ প্রতিবেশীদের কাছেও ভাল ছেলে হিসাবে পরিচিত ছিলেন সুজল। কোনও নেশাও ছিল না। সারা ক্ষণ দোকান নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন বলে জানা গেল। কখনও কোনও গোলমালেও তাঁকে জড়াতে দেখেননি কেউ। এ হেন যুবককে খুনের ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। কয়েক জনকে আটক করেছে পুলিশ।