কংগ্রেস পরিচালিত বসিরহাট পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তৃণমূলের আনা অনাস্থার উপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা আজ, বৃহস্পতিবার। ভোটাভুটির সময়ে গণ্ডগোলের আশঙ্কা থাকায় পুরভবন ঘিরে ব্যাপক পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সম্প্রতি কংগ্রেস পরিচালিত বসিরহাটের পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ এবং উন্নয়নের কাজ না করার অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব আনে তৃণমূল।
তাদের পক্ষে ৯ জন কাউন্সিলরের সই করা ওই প্রস্তাবের প্রতিলিপি তুলে দেওয়া হয় পুরপ্রধানের হাতে। অভিযোগ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের পুরপ্রধান কৃষ্ণা মজুমদার বলেন, ‘‘পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের এলাকা উন্নয়নের জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে। যাঁরা নিজের এলাকার উন্নয়নের কাজ করতে ব্যর্থ, তাঁরাই মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অভিযোগ তুলছেন।’’
২০১০ সালে পুর নির্বাচনের ফলাফলে বসিরহাট পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে কংগ্রেস ১০টি, তৃণমূল ৭টি, সিপিএম ৪টি এবং সিপিআই ১টি আসনে জয়ী হয়েছিল।
পুরপ্রধান হন কংগ্রেসের কৃষ্ণা মজুমদার এবং ভাইস চেয়ারম্যান হন ওই দলেরই অমিত দত্ত। পরবর্তীতে এক কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং অমিতবাবু দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। বর্তমানে বসিরহাট পুরসভায় কংগ্রেস ৮টি এবং তৃণমূল ৯টি আসন পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের আনা অনাস্থায় কারা জয়ী হবে, তা অনেকটাই নির্ভর করছে বাম কাউন্সিলরদের উপর।
বিজেপির বিক্ষোভ। বেআইনি গরুপাচার এবং চোলাই মদের ঠেক বন্ধের দাবিতে স্বরূপনগর থানার সামনে বিক্ষোভ করল বিজেপি। গরুপাচার ও চোলাই মদের রমরমা বন্ধ করার দাবিতে থানা কর্তৃপক্ষের হাতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। বুধবার বিকেল ৩টে নাগাদ কয়েকশো বিজেপি সমর্থক পোস্টার, ব্যানার নিয়ে স্বরূপনগর থানার সামনে জমায়েত হন। এ দিনের বিক্ষোভে মাইক ব্যবহার করা নিয়ে পুলিশ এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে বচসাও হয়। পুলিশের অভিযোগ, মাইক ব্যবহারের জন্য বিজেপি তাদের কাছ থেকে অনুমতি নেয়নি। অন্য দিকে, বিজেপির দাবি, আগে থেকে জানানো সত্ত্বেও তাঁদের মাইক ব্যবহার করতে বাধা দেয় পুলিশ। পরে তাঁরা থানার সামনে মঞ্চে উঠে বক্তৃতা করেন।
বৃষ্টিতে জমিয়ে আড্ডা।