অস্ত্র উদ্ধারে ঘরে ঘরে তল্লাশি চালাল পুলিশ, সঙ্গে বম্ব স্কোয়াড

বোমা সরাতে গিয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। সূত্র মারফত পুলিশের কাছে খবর আসছে, এলাকায় ঘণীভূত হচ্ছে রাজনৈতিক সংঘর্ষের আবহ। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মজুত করা অস্ত্রের সন্ধান চালাল পুলিশ ও বম্ব স্কোয়াডের সদস্যেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাসন্তী শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৪ ০০:১৬
Share:

বাসন্তীর গ্রামে বোমা-আগ্নেয়াস্ত্রের সন্ধানে চলছে তল্লাশি। ছবি: সামসুল হুদা।

বোমা সরাতে গিয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। সূত্র মারফত পুলিশের কাছে খবর আসছে, এলাকায় ঘণীভূত হচ্ছে রাজনৈতিক সংঘর্ষের আবহ। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মজুত করা অস্ত্রের সন্ধান চালাল পুলিশ ও বম্ব স্কোয়াডের সদস্যেরা।

Advertisement

ক্যানিংয়ের এসডিপিও বিশ্বজিত্‌ মাহাতো এবং সিআই রতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ওই দলটি গ্রামের ঘরে ঘরে সকাল থেকে ঢুকে তল্লাশি চালায়। সন্ধে পর্যন্ত ডকঘাট, কাঁঠালবেড়িয়া, খেড়িয়াপোল, ভরতগড়, ৪ নম্বর গরানবোস এলাকায় অভিযান চলে। অস্ত্রশস্ত্র অবশ্য কিছু উদ্ধার হয়নি। যদিও স্থানীয় মানুষের অনেকেই পুলিশের এই ভূমিকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, “এমন তল্লাশি বছরভর চললে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে।”

পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গত কয়েক মাসে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একাধিক বার উত্তেজনা দানা বেঁধেছে বাসন্তীতে। মঙ্গলবার রাতে তৃণমূলের এক নেতার উপস্থিতিতে জড়ো করা বোমা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরাতে গিয়ে ৪ নম্বর গরানবোস এলাকায় এক জনের মৃত্যু ঘটেছে বলেও পুলিশের দাবি। সেই দেহের সন্ধান এখনও মেলেনি। ওই ঘটনায় এক তৃণমূল নেতা-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে সুয়ো মোটো মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। এক স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকের জমি দখলের উদ্দেশ্যেই বোমা জড়ো করা হচ্ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে জানায় পুলিশ। সরকারি খালের দখলকে কেন্দ্র করে কিছু দিন আগেই ঝড়খালিতে বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছিল। দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। জখম হয়েছিলেন কয়েক জন। গত ১১ সেপ্টেম্বর উত্তর মোকামবেড়িয়া পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটির দিন হিঞ্চেখালিতে মারপিট বাধে। অভিযোগ, তৃণমূলের আক্রমণে ওই দিন আরএসপি এবং এসইউসি-র কয়েক জন জখম হয়েছিলেন। অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছিল তৃণমূল। পাল্টা হামলার অভিযোগ তোলে তারাও। গত এক সপ্তাহ ধরে কাঁঠালবেড়িয়ায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যেও হুমকি, বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

এ সবের জেরেই অস্ত্রের সন্ধানে তল্লাশি চলেছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের এক কর্তা। আগামী দিনেও এমন অভিযান জারি থাকবে বলে তাঁর দাবি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে আবার মনে করছেন, খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের পরে পুলিশ আরও সক্রিয় হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন