এ ভাবে সম্মান ডোবাবে ভাবিনি, বলছেন আদিত্যর স্ত্রী

দেড় মাসের পুরনো বৌয়ের গঞ্জনা সহ্য করতে না পেরেই নাকি বসিরহাটের বেকার যুবক আদিত্য দাস এটিএম ভাঙার মতলব এঁটেছিল। শেষমেশ ধরা পড়ে গিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে তার এক সঙ্গীকেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:৩৩
Share:

দেড় মাসের পুরনো বৌয়ের গঞ্জনা সহ্য করতে না পেরেই নাকি বসিরহাটের বেকার যুবক আদিত্য দাস এটিএম ভাঙার মতলব এঁটেছিল। শেষমেশ ধরা পড়ে গিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে তার এক সঙ্গীকেও।

Advertisement

এখন কী বলছেন আদিত্যর স্ত্রী?

তাঁর প্রতিক্রিয়া, “বিয়ের সময়ে শুনেছিলাম কাজ করে। তারপরে দেখলাম বেকার। রোজগার করতে বলতাম ঠিকই। কিন্তু তা বলে এ ভাবে আমাদের সকলের সম্মান ডোবাবে, সেটা ভাবতে পারিনি।” সদ্য বিবাহিতা তরুণী এখন চাইছেন, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরুন স্বামী। ছোটখাট কাজ করলেও চলবে। বেশি লোভ করার দরকার নেই।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত ১২টা নাগাদ ৩ নম্বর কলোনির বাসিন্দা আদিত্য এবং রবিউল বিশ্বাস ওরফে অনুপ প্রথমে বসিরহাটের চৌমাথায় টাকি রাস্তার ধারে একটি ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টারে ঢুকে হাতুড়ি মেরে মেশিন ভাঙার চেষ্টা করে। শব্দ শুনে এলাকার একজন থানায় ফোন করেন। পুলিশ আসছে বুঝতে পেরে দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালায়। এরপর তারা থানার পাশে অন্য এটিএম কাউন্টারে ঢোকে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দু’জনকে ধরে। কিন্তু কোনও মতে সেখান থেকে পালায় দু’জন। তারপরে যায় বসিরহাট কলেজের পাশে একটি এটিএমে। তত ক্ষণে সকালের আলো ফুটছে। বিপদ বুঝে সঙ্গী পালিয়ে গেলেও জনতার হাতে ধরা পড়ে যায় আদিত্য।

স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে ঘিরে ধরলে আদিত্য বলেছিল, সে একজন মিস্ত্রি। এটিএম সারাতে এসেছে। তার কথায় বিশ্বাস না হওয়ায় জনতা বাইরে থেকে কাউন্টারের দরজা বন্ধ করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশের কাছে ধৃত যুবক দাবি করেছে, বেকার জীবনে সদ্য বিয়ে করা বৌয়ের গঞ্জনা আর সহ্য হচ্ছিল না। সহজে কিছু রোজগারের আশায় এটিএম ভাঙার ফন্দি এঁটেছিল সে। তবে এর পিছনে অন্য কোনও চক্রের হাত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বসিরহাট থানার আইসি গৌতম মিত্র জানিয়েছেন, আদিত্যকে জেরা করেই রবিউলকে ধরা সম্ভব হয়েছে। তদন্ত চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement