খুনের অভিযোগ তুলে গণপিটুনি দুই মহিলাকে

স্বামীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে স্ত্রী-শাশুড়িকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হল। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট থানার খোলাপোতার দক্ষিণ মধুরাপুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম গৌর বিশ্বাস (৪০)। তাঁর স্ত্রী স্বপ্না ও শাশুড়ি লক্ষ্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের জেল হাজতে রাখার নির্দেষ দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:০১
Share:

স্বামীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে স্ত্রী-শাশুড়িকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হল। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট থানার খোলাপোতার দক্ষিণ মধুরাপুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম গৌর বিশ্বাস (৪০)। তাঁর স্ত্রী স্বপ্না ও শাশুড়ি লক্ষ্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের জেল হাজতে রাখার নির্দেষ দিয়েছেন।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌরবাবুর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বছর খানেক আগে বাদুড়িয়ার তারাগুনিয়া গ্রামের স্বপ্নাকে বিয়ে করেন তিনি। বাড়ির জমিতে থাকা মোবাইল টাওয়ারের কাজ দেখাশুনা করতেন তিনি। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। স্বপ্না এ নিয়ে পুলিশেও অভিযোগ করেছিলেন।

সোমবার দুপুরে ঘরের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় গৌরবাবুকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে তার আগেই স্বপ্না ও তাঁর মাকে খুনের অভিযোগে বেদম পেটায় গৌরের আত্মীয়-স্বজনেরা। মৃতের মামা গোবিন্দ বিশ্বাস পুলিশের কাছে করা অভিযোগে দাবি করেন, শ্বশুরবাড়িতে থাকতে চাইতেন না স্বপ্না। কারণে-অকারণে স্বামীর সঙ্গে গণ্ডগোল বাধাতেন। পরিকল্পনা করেই মাকে সঙ্গে নিয়ে গৌরকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন স্বপ্না।

Advertisement

স্বপ্না অবশ্য বলেন, “অতিরিক্ত মদ খাওয়ার জন্য স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হত। উনি মারধরও করতেন। সে কারণে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। পরে অবশ্য অভিযোগ তুলেও নিই।” স্বপ্না জানান, ঘটনার দিন বেলা ১০টা নাগাদ রাগ করে মায়ের কাছে চলে গিয়েছিলেন।

বিকেলে ফিরে এসে দেখেন, বাড়ির সামনে ভিড়। গৌরের আত্মীয়েরা খুনের অভিযোগ তুলে মারধর করে তাঁদের। স্বপ্নাদেবীর দাবি, “স্বামীর জমিতে বসানো মোবাইল টাওয়ার টাকা ছাড়াও অন্য সম্পত্তি হাতানোর জন্যই আমাকে তাড়ানো দরকার ওদের। সে জন্যই মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হল।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

স্বপ্নাদেবীদের আইনজীবী অজয় বসু বলেন, “ঘটনার সময়ে বাড়িতেই ছিলেন আমার মক্কেলরা। তাঁরা কোনও ভাবেই এই মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত নন। সম্পত্তি আত্মসাৎ করতেই অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন