জখম মধুমিতা। বৃহস্পতিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
এক কিশোরীকে ধাক্কা মেরে পালিয়েছিলেন চালক। আশ্রয় নিয়েছিলেন কাছেই পঞ্চায়েত অফিসে। পাশে পুলিশ ফাঁড়ি। সেখান থেকে পুলিশের গাড়ির এক চালক এসে উত্তেজিত জনতার উপরেই চড়াও হয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে কয়েক ঘণ্টার জন্য পথ অবরোধ করেন স্থানীয় মানুষ। পরে পুলিশ কর্তাদের নির্দেশে ওই চালককে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে মধুমিতা দে নামে গাইঘাটার সুটিয়ার বাসিন্দা এক কিশোরী সুটিয়া পঞ্চায়েতে অফিসে কাজে গিয়েছিল। সুটিয়া বাজারের পাশে ওই অফিস থেকে সাইকেল নিয়ে ফেরার পথে পাঁচপোতা-গোবরডাঙা সড়কে একটি ছোট গাড়ি তাকে ধাক্কা মারে। গাড়ির ধাক্কায় রাস্তার পাশের একটি দোকানেরও ক্ষতি হয়।
দুর্ঘটনার পরে উত্তেজিত জনতা গাড়িটিকে ধাওয়া করেন। গাড়ি রেখে পালান চালক। ঢুকে পড়েন সুটিয়া পঞ্চায়েতের অফিসে। উত্তেজিত জনতা চালককে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে বলে বিক্ষোভ শুরু করে পঞ্চায়েতের সামনে। তত ক্ষণে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে এলাকার লোকজন নিয়ে যান গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে। মেয়েটির মাথায় ৫টি সেলাই পড়েছে। পরে তাকে পাঠানো হয়েছে এলাকারই একটি নার্সিংহোমে।
এ দিকে, পঞ্চায়েত অফিসের পাশেই সুটিয়া পুলিশ ফাঁড়ি। গোলমালের খবর পেয়ে সেখান থেকে চলে আসেন পুলিশের গাড়ির চালক। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, ছোট গাড়িটির চালকের পক্ষ নিয়ে তিনি উল্টে চোটপাট শুরু করেন। বচসার সময়ে কয়েক জনকে মারধরও করেন। প্রতিবাদে সুটিয়া বাজারের রাস্তা আটকায় জনতা। সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ গাইঘাটা থানার ওসি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের গাড়ির ওই চালককে বরখাস্ত করলে জনতা শান্ত হয়। অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। ছোট গাড়ির চালককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গাড়িটিও।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাঁচপোতা-গোবরডাঙা রাস্তার ওই অংশে আগে ডিভাইডার ছিল। গাইঘাটা থানার পুলিশই সেই ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু পরে সুটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির লোকজন সেই ডিভাইডার সরিয়ে দেন। এলাকার মানুষের বক্তব্য, ডিভাইডার থাকলে এ দিনের দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ওসি।