হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ। —নিজস্ব চিত্র।
সুন্দরবনের নদী বা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই বাংলাদেশি জলদস্যুদের হামলার সম্মুখীন হতে হয় এ দেশের মৎস্যজীবীদের। মুক্তিপণ চেয়ে একাধিক অপহরণের ঘটনাও ঘটেছে এর আগে। এ বার বাংলাদেশি জলদস্যুদের ছোড়া গুলিতে দুই মৎস্যজীবীর জখম হওয়ার অভিযোগ উঠল। সোমবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে তালপাটি জঙ্গলের উল্টো দিকে ছায়াকাপুড়ার কাছে গাঁড়াল নদীতে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত বুধবার গোসাবার ছোটমোল্লাখালির আমতলির বাসিন্দা সুভাষ মণ্ডল, তাঁর ছেলে বাপি ও গ্রামের তিন বাসিন্দা হরিপদ বর্মণ, নিরাপদ মণ্ডল, সাধু আড়ি গিয়েছিলেন মাছ ধরতে। পুলিশকে তাঁরা জানিয়েছেন, সোমবার যখন তাঁরা নদীতে মাছ ধরছিলেন, সে সময়ে উল্টো দিকের তালপাটি জঙ্গল থেকে একটি নৌকো করে ৬-৭ জনের বাংলাদেশি জলদস্যুদের একটি দল হানা দেয়। নৌকোয় থাকা জিনিসপত্র দাবি করে তারা। নদীতে ফেলা জাল রেখে নৌকো নিয়ে চিৎকার করতে করতে পালানোর চেষ্টা করেন ওই মৎস্যজীবীরা। সে সময়ে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ছর্রা গুলিতে জখম হন সুভাষ ও হরিপদ। তবে কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন রাতে ফেরেন গ্রামের বাড়িতে। পরে সেখান থেকে ছোট মোল্লাখালি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয় জখম দু’জনকে। মঙ্গলবার সেখান থেকে তাঁদের পাঠানো হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে কলকাতায়।
হরিপদ ও সুভাষ বলেন, ‘‘নদীতে জাল পাতার পরে বঁড়শি দিয়ে মাছ ধরছিলাম। সে সময়ে জলদস্যুরা আক্রমণ করে। পালানোর চেষ্টা করলে গুলি ছোড়ে।’’
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘এ রকম একটি ঘটনার কথা শুনেছি। তবে এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। বিএসএফের সঙ্গে কথা বলে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’ লিখিত অভিযোগ না পেলেও ঘটনার কথা শুনেছেন বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি কিশোর মানকর। পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, ‘‘আমাদের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। বিষয়য়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’