তৃণমূল নেতা বিজেপিতে, ভোটের টিকিট নিয়ে জল্পনা

তৃণমূলের এসসি-এসটি-ওবিসি সেলের সভাপতি নীলরতন বিশ্বাস বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় বনগাঁর রাজনৈতিক মহলে নতুন জল্পনা শুরু হল। নীলরতনবাবু যে দল ছাড়বেন, তা নিয়ে কিছু দিন ধরেই গুঞ্জন ছিল বনগাঁয়। রবিবার হাবরায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের সভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন বর্ষীয়ান এই নেতা। ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন তিনি। অতীতে বনগাঁ পুরসভার কাউন্সিলর হয়েছেন।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র

হাবরা শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৪৫
Share:

তৃণমূলের এসসি-এসটি-ওবিসি সেলের সভাপতি নীলরতন বিশ্বাস বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় বনগাঁর রাজনৈতিক মহলে নতুন জল্পনা শুরু হল।

Advertisement

নীলরতনবাবু যে দল ছাড়বেন, তা নিয়ে কিছু দিন ধরেই গুঞ্জন ছিল বনগাঁয়। রবিবার হাবরায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের সভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন বর্ষীয়ান এই নেতা। ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন তিনি। অতীতে বনগাঁ পুরসভার কাউন্সিলর হয়েছেন। হাবরা ১ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক হিসাবে অবসর নেওয়ার পরে পুরোপুরি দলের কাজেই মন দেন তিনি। এসসি-এসটি-ওবিসি সেলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকও হয়েছেন। ২০১২ সাল থেকে এসসি-এসটি-ওবিসি সেলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি হন তিনি।

মতুয়াবাড়ির সঙ্গেও দীর্ঘদিনের সখ্য নীলরতনবাবুর। বনগাঁ মহকুমা গুরুচাঁদ জন্মজয়ন্তী কমিটির সহ সভাপতি তিনি। নীলরতনবাবু এ দিন বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দলে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু ইদানীং দল আদর্শ বিচ্যূত হয়েছে। সে জন্যই বিজেপিতে যোগ দিলাম।”

Advertisement

নীলরতনবাবু মুখে এ কথা বললেও বিজেপিরই একটি সূত্র মনে করছে, বনগাঁ কেন্দ্রে আসন্ন উপনির্বাচনে বিজেপির টিকিটের দাবিদার হতেই তড়িঘড়ি দল বদল করলেন নীলরতনবাবু। তৃণমূল বনগাঁয় মতুয়াদের মধ্যে থেকে কাউকে প্রার্থী করবে, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে দলের অন্দরে। কিন্তু প্রয়াত সাংসদ কপিলকৃষ্ণের স্ত্রী মমতাবালার সঙ্গে কপিলের ভাই মঞ্জুলকৃষ্ণ ও তাঁর ছেলে সুব্রতর বিবাদ যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক ভাঙবে বলেও মনে করছে তৃণমূলেরই একটি অংশ। এই পরিস্থিতিতে মতুয়াদের মধ্যেই কাউকে লোকসভা ভোটের টিকিট দিয়ে বিজেপি মতুয়া ভোটকে পাশে পেতে চাইবে বলে মনে করে সব পক্ষই। বস্তুত, গত লোকসভা ভোটেও মতুয়াবাড়ির ঘনিষ্ঠ এবং সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সম্পাদক কেডি বিশ্বাসকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তিনি এ বার দলের টিকিট পাবেন কিনা, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সংশয় আছে। এই পরিস্থিতিতে নীলরতনের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে কিনা, তা-ও দেখার। নীলরতনবাবু নিজে অবশ্য এ দিন দলবদলের পরে বলেন, “ভোটের ব্যাপারটা দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বই স্থির করবেন।” জেলা তৃণমূল পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নীলরতনবাবুর দলত্যাগের ঘটনায় গুরুত্ব দিতে নারাজ। দলবিরোধী কাজকর্মের জন্য মাস দু’য়েক আগে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন