বনগাঁ ব্লকের সিপিএম পরিচালিত বৈরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান সিপিএমের সুবোল কর্মকার-সহ তিন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দিলেন রবিবার। স্থানীয় গণেশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এক সভায় সিপিএমের ওই তিন পঞ্চায়েত সদস্যের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তৃণমূলের সুরজিৎ বিশ্বাস ও বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা জেলা যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওই পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের হায়দার আলি মোল্লা ও জেলা যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বিশ্বাস।
পঞ্চায়েতটি এখন বামেদের দখলে রয়েছে। মোট ২১টি আসনের মধ্যে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেরা পেয়েছিল ১১টি আসন। তৃণমূল পায় ৮টি। নির্দল পেয়েছিল একটি। এর আগে অবশ্য তৃণমূলের দখলে ছিল পঞ্চায়েতটি।
এদিন সিপিএমের তিন সদস্য ছাড়াও বামেদের শতাধিক কর্মী-সমর্থক তাদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। তিন সদস্য দলত্যাগ করাতে বামেরা পঞ্চায়েতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ল। যোগদান করা বাকি দুই সদস্য হলেন, কৃষ্ণপদ বিশ্বাস ও সুভাষ বিশ্বাস। যদিও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি ভাবে অবশ্য ওই তিনজন এখনও দলত্যাগ করেননি। তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে, এক বছর না হলে অনাস্থা আনা যায় না। ১৮ অগস্টের পর পঞ্চায়েতে অনাস্থা আনা হবে প্রধান সিপিএমের বাবলু হোসেন মণ্ডলের বিরুদ্ধে। সুরজিৎবাবু বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়ন করতে হবে।’ বিশ্বজিৎবাবুর কথায়, ‘‘এই এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই বামবিরোধী। পঞ্চায়েত ভোটে আমরা নিজেদের ভুলে ক্ষমতা হাতছাড়া করেছিলাম।” উপ-প্রধান বলেন, ‘‘মানুষকে দেওয়া উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি আমরা রক্ষা করতে পারছিলাম না। মানুষের মধ্যে আমাদের নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল তাই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত।’’