তৃণমূলের মিছিলে বেরিয়ে নিখোঁজ যুবক, সন্দেহ খুন

তৃণমূলের বিজয় মিছিলে গিয়ে রহস্য জনক ভাবে নিখোঁজ হয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে গোপালনগর থানার নতিডাঙা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, আমিনুর মণ্ডল নামে ওই তৃণমূল কর্মী স্থানীয় বাসিন্দা। বছর বত্রিশের ওই যুবক এলাকায় ভাল ছেলে হিসাবেই পরিচিত। মঙ্গলবার পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ না মেলায় ক্ষোভে ফুঁসছে গ্রাম। আমিনুরের মা সকিনা ও বাবা আকবর মনে করছেন, ছেলেকে খুন করা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “নিখোঁজ যুবককে খুঁজে বের করতে সব রকমের চেষ্টা করা হচ্ছে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোপালনগর শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৫৫
Share:

আমিনুর মণ্ডল।

তৃণমূলের বিজয় মিছিলে গিয়ে রহস্য জনক ভাবে নিখোঁজ হয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে গোপালনগর থানার নতিডাঙা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, আমিনুর মণ্ডল নামে ওই তৃণমূল কর্মী স্থানীয় বাসিন্দা। বছর বত্রিশের ওই যুবক এলাকায় ভাল ছেলে হিসাবেই পরিচিত। মঙ্গলবার পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ না মেলায় ক্ষোভে ফুঁসছে গ্রাম। আমিনুরের মা সকিনা ও বাবা আকবর মনে করছেন, ছেলেকে খুন করা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “নিখোঁজ যুবককে খুঁজে বের করতে সব রকমের চেষ্টা করা হচ্ছে।”

Advertisement

এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বুধবার সন্ধ্যায় গ্রামে যান ভাস্করবাবু। গ্রামের লোকজনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তিনি। গ্রামবাসীদের দাবি, যে অবস্থাতেই হোক, ফিরিয়ে আনা হোক আমিনুরকে। এই ঘটনায় যুক্ত সন্দেহ এক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় গ্রামে বনগাঁ লোকসভার উপনির্বাচনে জয়ী দলীয় প্রার্থী মমতা ঠাকুরের সমর্থনে মিছিল বের করা হয়েছিল। ওই মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন আমিনুর। গোটা গ্রাম ঘুরে মিছিল শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ। রবিবার ভোর রাতে খেতে বেগুন তুলতে যাওয়ার জন্য অন্য চাষিরা তাঁকে বাড়িতে ডাকতে গিয়ে দেখেন, আমিনুর নেই। তারপর থেকেই আর হদিস মেলেনি ওই যুবকের। খবর দেওয়া হয় গোপালনগর থানায়।

Advertisement

স্থানীয় নতিডাঙা বাওরের পাশে আমিনুরের বাড়ি। তাঁরা তিন ভাই। আমিনুর মেজো। বড় ভাই আলাদা থাকেন। ছোট ভাই কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন। আমিনুর বাড়িতে বাবা-মাকে নিয়ে থাকেন। নিজেদের জমিতে চাষবাস করেন। আমিনুরের মা সকিনা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমার ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে।” স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মিছিলে আমিনুর চার জনের সঙ্গে হাঁটছিলেন। শেষের দিকে দুই বন্ধু আগে এগিয়ে যান। মিছিলের শেষে নতিডাঙা কলোনি এলাকার একটি দোকানে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল। আমিনুরের বৌদি বলেন, “এক যুবকের প্রতি আমাদের সন্দেহ। পুলিশকে আমরা তা জানিয়েছি।”

যে যুবকের প্রতি আমিনুরের বাড়ির লোকেদের সন্দেহ, তাঁর সঙ্গে আমিনুরের কিছু দিন আগে খেতে জল দেওয়া নিয়ে ঝামেলা বেধেছিল বলে তাঁদের দাবি।

জানা গেল, স্থানীয় বাওর নদীতে গ্রামের মানুষ নেমে তন্নতন্ন করে খোঁজাখুজি করছেন। বাড়ির লোকেদের দাবি, নতিডাঙা কলোনি এলাকায় যেখানে আমিনুরকে শেষ দেখা গিয়েছে, সেখানকার মানুষজন ওই রাতে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনেছেন। মাঠে অনেকটা গুহার মতো এলাকায় গামছা ও লাঠি পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। স্থানীয় বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস মঙ্গলবার নিখোঁজ দলীয় কর্মীর বাড়িতে যান। তিনি বাড়ির লোকেদের আশ্বাস দেন, আমিনুরকে খুঁজে বের করা হবেই। বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে জানানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন বিশ্বজিৎবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন