তদন্তে গিয়ে প্রহৃত ৫ পুলিশ কর্মী

দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ গড়িয়েছিল থানা-পুলিশ পর্যন্ত। তদন্তে যায় পুলিশ। কিন্তু গ্রামবাসীরা এককাট্টা হয়ে চড়াও হয় পুলিশের উপরেই। পুলিশের সামনে বোমা পড়ে। লাঠি, বাঁশের ঘায়ে চোট পেয়েছেন ৫ পুলিশ কর্মী। পুলিশের উপরে হামলার অভিযোগে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মন্দিরবাজার শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:৪৯
Share:

জখম সাব ইন্সপেক্টর। —নিজস্ব চিত্র।

দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ গড়িয়েছিল থানা-পুলিশ পর্যন্ত। তদন্তে যায় পুলিশ। কিন্তু গ্রামবাসীরা এককাট্টা হয়ে চড়াও হয় পুলিশের উপরেই। পুলিশের সামনে বোমা পড়ে। লাঠি, বাঁশের ঘায়ে চোট পেয়েছেন ৫ পুলিশ কর্মী। পুলিশের উপরে হামলার অভিযোগে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মন্দিরবাজারের খেলারামপুর গ্রামে। ওই গ্রামে এমনিতেই মাঝে মধ্যে গোলমাল লেগে থাকে। বোমা পড়ে বলেও অভিযোগ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গ্রামের বাসিন্দা ইউনুস মোল্লা ও জালাল মোল্লার পরিবারের মধ্যে অশান্তি বেধেছিল দিন দু’য়েক আগে। দু’পক্ষই বৃহস্পতিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। এ দিন তদন্তে যায় পুলিশ।

ডায়মন্ড হারবারের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন আছেন কৌশিক বিশ্বাস নামে জখম এক সাব ইন্সপেক্টর। তিনি জানান, এ দিনও গ্রামের দু’পক্ষের মধ্যে বচসা চলছিল। সে সময়েই হাজির হন পাঁচ পুলিশ কর্মী। তাঁরা গ্রেফতার করতে এসেছেন ধরে নিয়ে গ্রামের মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। একটি বোমা পড়ে পুলিশের গাড়ির কাছেই। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হই হই করে লাঠিসোঁটা হাতে এগিয়ে আসেন গ্রামের কয়েকশো মহিলা-পুরুষ। পুলিশকে ঘিরে শুরু হয় মারধর। ইট-পাটকেলও পড়ে। খবর পেয়ে থানা থেকে বিশাল বাহিনী গিয়ে ওই পাঁচ জনকে উদ্ধার করে আনে।

Advertisement

জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৫ জনকেই প্রাথমিক ভাবে নিয়ে যাওয়া হয় নাইয়াহাট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। কৌশিকবাবুকে পাঠানো হয় নার্সিংহোমে। বাকি তিন জন ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই ভর্তি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন