দেগঙ্গা ও হাবরায় কলেজে ঘেরাও অধ্যক্ষ

সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীরা স্কলারশিপের চেক পাচ্ছেন না, এই অভিযোগ তুলে কলেজ গেটে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। যার জেরে সোমবার দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা চন্দ্রকেতুগড় ডক্টর সহিদুল্লা মহাবিদ্যালয়ে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত আটকে পড়েন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ-সহ অন্য শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা। রাতের দিকে পুলিশ আসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দেগঙ্গা ও হাবরা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:২৫
Share:

দেগঙ্গায় কলেজে তখন চলছে ছাত্রবিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীরা স্কলারশিপের চেক পাচ্ছেন না, এই অভিযোগ তুলে কলেজ গেটে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। যার জেরে সোমবার দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা চন্দ্রকেতুগড় ডক্টর সহিদুল্লা মহাবিদ্যালয়ে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত আটকে পড়েন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ-সহ অন্য শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা। রাতের দিকে পুলিশ আসে।

Advertisement

টিএমসিপি নেতা শেখ সাহিদুল ইসলাম বলেন, “গত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের আমলে সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপের ৮২টি চেক এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সময়ে ১২০টি চেকের হদিস নেই। চেকগুলি কী হল, তা নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ-সহ কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও কথাও বলতে চাইছে না।” তারই প্রতিবাদে এ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি বলে জানান তিনি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অরবিন্দ সিট সময় মতো কলেজে আসেন না বলেও বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ। অরবিন্দবাবু বলেন, “চেকের বিষয়ে যা বলার কলেজ পরিচালন কমিটির বৈঠকে বলব। তবে অনিয়মিত ভাবে যাতায়াতের যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন।”

অন্য দিকে, শ্রীচৈতন্য কলেজের অধ্যক্ষকেও এ দিন ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় এক দল ছাত্রছাত্রী। সোমবার বেলা দেড়টা থেকে ৩টে পর্যন্ত ঘেরাও চলে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ভর্তির দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও অধ্যক্ষ ইন্দ্রমোহন মণ্ডল কলেজের ভেঙে ভর্তি নিয়েছেন। অধ্যক্ষ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “বাইরে থেকে কোনও পড়ুয়াকে ভর্তি করা হয়নি। পাস কোর্সে যারা ভর্তি হয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকেরই নম্বর থাকা সত্ত্বেও অনার্সে ভর্তি হতে পারেনি। কারণ, সে সময়ে অনার্সের আসন খালি ছিল না। কিন্তু এখন অনার্সের পড়ুয়ারা অনেকেই অন্যত্র ভর্তি হয়েছে। এতে কিছু আসন খালি হয়েছে। তাই কলেজেরই পাশের ছাত্রছাত্রীদের অনার্স দেওয়া হচ্ছে।” কলেজেরছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তারক দে বলেন, “ওই আন্দোলনের সঙ্গে আমরা যুক্ত ছিলাম না। সাধারণ ছাত্রছাত্রীরাই আন্দোলন করেছেন।” তাঁর আরও বক্তব্য, “কলেজ পরিচালনার ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ যা সঠিক মনে করবেন, তা-ই করবেন।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন