রেজিস্ট্রি অফিসে দালালের অনুপ্রবেশ রুখতে পরিচয়পত্রের দাবিতে মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন মহকুমা দলিল লেখক সংগ্রাম কমিটির সদস্যেরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বসিরহাটের রেজিস্ট্রি অফিস মোড়ে সভা শেষে মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দলিল লেখকেরা পোস্টার, ব্যানার হাতে মিছিল করে দফতরে যান। মহকুমাশাসকের না থাকায় এক জন ম্যাজিস্ট্রেট বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে চার দফা দাবির ভিত্তিতে স্মারকলিপি জমা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলার প্রতিশ্রুতি দেন। বিক্ষোভকারীরা শান্ত হন।
এ দিন দুপুরে বসিরহাট, হাসনাবাদ, বাদুড়িয়া এবং হটাগঞ্জ থেকে আসা শ’তিনেক দলিল লেখক বসিরহাটের রেজিস্ট্রি অফিস মোড়ে জড়ো হন। সেখানে এক সভায় সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখতে গিয়ে জানান, দফতরের এক শ্রেণির কর্মী এবং দালাল চক্রের জন্য দলিল লেখকদের রোজগারে টান পড়ছে। তাই পথে নামা। রেজিস্ট্রি অফিসে অবিলম্বে দালালদের আনাগোনা বন্ধ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুমকি দেওয়া হয়।
সংগঠনের পক্ষে নজরুল ইসলাম, দ্বিজেন চৌধুরী, প্রসূন চক্রবর্তীরা বলেন, “আইন অনুসারে জমির দলিল তৈরি করতে গেলে একমাত্র সরকার অনুমোদিত দলিল লেখক এবং আদালতে নিযুক্ত আইনজীবী জরুরি। অথচ অসৎ কর্মচারীদের সহায়তায় আইনজীবীর অনুপস্থিতিতে সই নকল করে কম খরচে দলিল রেজিস্ট্রি করানো হচ্ছে। এর ফলে সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত দলিল লেখকেরা কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”
সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দফতরে ঢোকা ওই দালাল চক্রে জড়িতদের গ্রেফতার করে সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত দলিল লেখকদের পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করতে হবে। বসিরহাট মহকুমার অধীনে চারটি দফতর স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা বাতিল করা চাই। তা ছাড়াও রেজিস্ট্রি অফিসে স্থায়ী আধিকারিক নিয়োগ করার দাবিতে আমাদের এই আন্দোলন।”
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, অবৈধ দলিল লেখক অর্থাৎ দালালদের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। দফতরের কর্মীদের একাংশের দাবি, জমির মূল্য কম দেখিয়ে কোনও কোনও দলিল লেখক রেজিস্ট্রি করানো শুরু করেন। সেখান থেকেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।