দৃষ্টিহীন ছাত্রীকে ধর্ষণ, ধৃত স্কুলকর্মী

মাস পাঁচেক আগে নৈহাটির একটি দৃষ্টিহীনদের স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই স্কুলেরই চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পাশাপাশি, দু’পক্ষকে ডেকে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটমাট করানো এবং অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া ওই কিশোরীর গর্ভপাতে তার পরিবারকে রাজি করানোর অভিযোগে আটক করা হয়েছে প্রধান শিক্ষককে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নৈহাটি শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৪ ০২:২২
Share:

মাস পাঁচেক আগে নৈহাটির একটি দৃষ্টিহীনদের স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই স্কুলেরই চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পাশাপাশি, দু’পক্ষকে ডেকে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটমাট করানো এবং অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া ওই কিশোরীর গর্ভপাতে তার পরিবারকে রাজি করানোর অভিযোগে আটক করা হয়েছে প্রধান শিক্ষককে। প্রধান শিক্ষক এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

শুক্রবার রাতে নৈহাটির হামিদপুরের বাসিন্দা ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয় নৈহাটি থানায়। প্রধান শিক্ষকই অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই পুলিশ স্কুলের কর্মী বিপ্লব কোনাইকে গ্রেফতার করে শনিবার। ওই ছাত্রীর বাবা ভিক্ষা করে সংসার চালান। তিনি গোটা ঘটনা নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। তাঁর মেয়ে স্কুলেরই ছাত্রাবাসে থাকত।

প্রধান শিক্ষক পুলিশকে জানিয়েছেন, গত ১১ এপ্রিল বিপ্লব ওই ছাত্রীকে ছুটির পরে স্কুল চত্বরেই একটি ফাঁকা ঘরে ধর্ষণ করে। কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। ছাত্রীটি এর পরে বাড়ি ফিরে যায়। দিন পনেরো আগে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। গত ১৮ অগস্ট ডাক্তারি পরীক্ষায় তার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার প্রমাণ মেলে। পরের দিন ছাত্রীটি পরিবারের লোকজনের সঙ্গে স্কুলে আসে।

Advertisement

পুলিশের দাবি, জেরায় প্রধান শিক্ষক কবুল করেছেন, গত ২০ অগস্ট সালিশি ডেকে তিনি ওই ছাত্রীর গর্ভপাত করানোর পরামর্শ দেন তার পরিবারের লোকজনকে। এ জন্য বিপ্লব তাঁর কথামতো কয়েক হাজার টাকাও দেয় ওই ছাত্রীর বাবাকে। গত ২১ অগস্ট আমডাঙার একটি নার্সিংহোমে গর্ভপাত করানো হয় ছাত্রীটির। ছাত্রীটির পরিবারও সব কথাই মেনে নিয়েছে।

তবে, যে প্রধান শিক্ষক নিজেই সালিশিতে অভিযুক্ত, তিনি কেন বিপ্লবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন বা এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন