হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জখমদের। ছবি সজল চট্টোপাধ্যায়।
মোবাইল চুরি করে পালাচ্ছিল এক দুষ্কৃতী। সে সময়ে মাহাবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি তাকে ধরে ফেলেন। এই ‘অপরাধে’ মঙ্গলবার বিকেলে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর, মারধর এবং লুঠপাট করে চম্পট দিল ওই দুষ্কৃতী ও তার সঙ্গীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, মূল অভিযুক্তের নাম মোশারফ দেওয়ান। দেওয়ানআটি গ্রামে তার বাড়ি। দেগঙ্গার সানপুকুর গ্রামের কর্মকার পাড়ায় এই ঘটনার পরে গ্রামবাসী স্থানীয় পঞ্চায়েতের সামনে ওই দুষ্কৃতীদের ধরার দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ওই ব্যবসায়ীর আহত বাবা-মাকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতিও দেয়। এরপরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে ওই এলাকার বেড়াচাঁপা বাজারে একটি বইয়ের দোকান থেকে মোশারফ একটি মোবাইল চুরি করে পালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। সে সময়ে এলাকার মানুষ চোরের পিছু ধাওয়া করে। হাদিপুর-ঝিকড়া ১ পঞ্চায়েতের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন মাহাবুর। তিনি মোশারফকে ধরে ফেলেন। জনতা ওই দুষ্কৃতীকে ধরে পেটায়। মোবাইলটিও উদ্ধার হয়। তবে ব্যাপারটা আর থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়নি। মারধর করে ছেড়ে দেওয়া হয় ওই দুষ্কৃতীকে। সে সময়ে মাহাবুরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায় মোশারফ।
পুলিশ জানায়, বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ ১০-১৫ জন সঙ্গীকে নিয়ে মোশারফ হামলা চালায় বলে অভিযোগ। মাহাবুরের স্ত্রী, বাবা-মাকে মারধর করা হয়েছে। বাড়ির কাছে ওই ব্যবসায়ীর একটি আলমারি তৈরির কারখানা আছে। দুষ্কৃতীরা ওই কারখানায় ঢুকে ভাঙচুর করে। মাহাবুর বলেন, ‘‘চোর ধরার চেষ্টা করার শাস্তি যে বাবা-মাকে পেতে হবে তা আগে বুঝিনি।’’
এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামের মানুষ। অবিলম্বে দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামা হবে বলে জানিয়েছেন গ্রামের মানুষ। পুলিশ মোশারফ ও তার সঙ্গীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।