প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগ

জমিজমা নিয়ে বিবাদের জেরে এক প্রৌঢ়কে খুন করে দেহটি গাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর পাঁচ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাটের জ্যোতিষপুর গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ জানা (৫৫) নামে ওই প্রৌঢ়ের দেহটি মেলে তাাঁর বাড়ির অদূরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৪ ০১:০৮
Share:

জমিজমা নিয়ে বিবাদের জেরে এক প্রৌঢ়কে খুন করে দেহটি গাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর পাঁচ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাটের জ্যোতিষপুর গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ জানা (৫৫) নামে ওই প্রৌঢ়ের দেহটি মেলে তাাঁর বাড়ির অদূরে। সন্তোষবাবু ও তাঁর পরিবারের লোকজন বিজেপি সমর্থক। অভিযুক্ত প্রতিবেশীরা তৃণমূল সমর্থক হওয়ায় গোটা ঘটনায় রাজনীতির রং লাগে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ওই প্রৌঢ়ের পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। কাউকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি জমি নিয়ে সন্তোষবাবুর আত্মীয় শ্রীমন্ত জানার সঙ্গে তাঁদের প্রতিবেশী শ্যামল প্রধান ও তাঁর পরিবারের লোকজনের ঝামেলা চলছিল। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। শ্রীমন্তবাবুর পক্ষে সাক্ষী দিয়েছিলেন সন্তোষবাবু। তার পর থেকেই সন্তোষবাবু ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে শ্যামলেরা হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। শুক্রবার সন্ধ্যায় সন্তোষবাবু বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। দেহ উদ্ধারের পরে তাঁর পুত্রবধূ শ্যামলদের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ দায়ের করেন থানায়।

Advertisement

বিজেপির ব্লক সভাপতি কৌশিক দাসের অভিযোগ, “তৃণমূল প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য আমাদের দলীয় সমর্থককে খুন করল।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুদ্ধদেব দাস। তাঁর দাবি, “জমি নিয়ে বিবাদে ওই প্রৌঢ় আত্মঘাতী হয়েছেন। দল ই ঘটনায় কোনও ভাবে জড়িত নয়। বিজেপি নোংরা রাজনীতি করছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement