ট্রাক দুর্ঘটনায় ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পুলিশকে মারধরের অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল দেগঙ্গা থানার পুলিশ। ধৃতেরা হলেন, আসিফ দফাদার নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ী, তাঁর কর্মচারী আব্বাস মণ্ডল, মসিউর রহমান ওরফে মিন্টু, আবু কালাম এবং আরিফ দফাদার। পুলিশ জানিয়েছে, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
সোমবার সকালে বাবার মোটর বাইকের পেছনে বসে বেড়াচাঁপায় স্কুলে যাচ্ছিল দেগঙ্গার চাঁদপুর গ্রামের শিশু সাহিদ সাহাজি। হাদিপুর গ্রামে হাতিপাড়ার কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই সাহিদের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হন তার বাবা ফিরোজউদ্দিন। পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে জনতা তাদের উপরে চড়াও হয়। ইট ও বাঁশের আঘাতে দুই পুলিশকর্মী এক সিভিক ভলান্টিয়ার গুরুতর আহত হন। সন্ধ্যায় মৃতের বাড়িতে গিয়ে পুলিশকে মারধরের তিব্র সমলোচনা করেন বসিরহাটের সাংসদ ইদ্রিস আলি। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি করেন তিনি। রাতেই দেগঙ্গা থানার ওসি পলাশ চট্টোপাধ্যায় বিশাল বাহিনী নিয়ে এলাকায় গিয়ে পুলিশকে মারধরের অভিযোগে ওই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। এ দিন থানা চত্বরে দাঁড়িয়ে ধৃতদের আত্মীয়েরা বলেন, “পুলিশকে মারধর করা অন্যায়। কিন্তু পুলিশ যে ভাবে অভিযুক্তদের না ধরে কেবল নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করেছে, তা কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়।” আরিফ এবং আবু কালামের বাবা নুর ইসলাম মণ্ডল বলেন, “এক ছেলে গাড়ির চালক, অন্য জন কাচের কারখানায় কাজে ব্যস্ত ছিল। ঘটনার কিছুই জানে না। রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে।” পুলিশের দাবি, নির্দিষ্ট মামলা রুজু করেই সকলকে ধরা হয়েছে।