উত্তর ২৪ পরগনায় বিজেপির ভোট বৃদ্ধিতে চিন্তিত সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম দেব। রাজ্যে বিজেপি ১৭% ভোট পেলেও উত্তর ২৪ পরগনায় ২২% ভোট পেয়েছে। কী ভাবে বিজেপির এই অগ্রগতিকে বন্ধ করা যায়, গৌতমবাবুর এখন সেটাই প্রধান চিন্তা। শনিবার থেকে আলিমুদ্দিনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ দলীয় নেতৃত্ব বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন।
বৈঠকে গৌতমবাবু যে রিপোর্ট পেশ করেছেন, তাতেই বিজেপির উত্থানকে কী ভাবে প্রতিহত করা যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপি-র সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিপদ মানুষকে বোঝানো তো আছেই, পাশাপাশি ৬ ডিসেম্বরের আগে জেলা জুড়ে ১০০ জনসভা করার কথাও বলা হয়েছে রিপোর্টে। গৌতমবাবুর মতে, ঠিক মতো কর্মসূচি নিয়ে পার্টি কর্মীদের ঐক্য বজায় রাখতে পারলে আগামী বিধানসভা ভোটে এই জেলায় বামফ্রন্ট ভাল ফল করবে। জেলায় একের পর এক চটকল বন্ধ হচ্ছে এ কথা উল্লেখ করে গৌতমবাবু বলেন, চটকল শ্রমিকদের স্বার্থেও দলকে আন্দোলনে নামতে হবে।
এ দিকে সিপিএমের ভাঙন কিন্তু অব্যাহত। এ দিনই পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থেকে সিপিএমের ৯ জন নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় জানান, আরামবাগের খানাকুলের ৪০০ জন সিপিএম কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তারমধ্যে যুব নেতা মাসুদ আহমেদও আছেন। এছাড়া, উত্তর ২৪ পরগনার রাজারহাটের ২০০ জন বিজেপি নেতা -কর্মী তৃণমূলে এবং মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা পুরসভার ৪ জন কংগ্রেস কাউন্সিলরও এ দিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।