তালতলা বাজারে খোলা দোকানপাট। নিজস্ব চিত্র।
কিছু তৃণমূল সমর্থক এবং পুলিশের মারে এক দলীয় কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে শনিবার দুপুর থেকে আরামবাগ থানা এলাকায় চার ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছিল বিজেপি। কিন্তু এ দিন সর্বত্রই দোকানপাট খোলা ছিল। চলল যানবাহনও। তবে, শুক্রবার যে এলাকায় সাদে মানিক খাঁ নামে ওই বিজেপি কর্মী মারা যান, সেই হরিণখোলা বাজারে ঘটনার পর থেকেই দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এ দিনও খোলেনি।
এ ব্যাপারে বিজেপির আরামবাগ জেলা সভাপতি অসিত কুণ্ডুু বলেন, “ঘটনার প্রতিবাদ আমরা জানিয়েছি। কিন্তু মাদ্রাসা পরীক্ষার জন্য আমরা বন্ধ পালনে বেশি জোর দিইনি।”
পূর্ব কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা সাদে মানিককে প্রথমে তৃণমূলের লোকজন এবং তার পরে পুলিশ গাড়িতে তুলে মারে এবং তার জেরেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন। একই অভিযোগ বিজেপিরও। তৃণমূল এবং পুলিশ সেই অভিযোগ মানেনি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ীদের দাবি, সম্প্রতি একটি গোলমালের ঘটনায় সাদে মানিকের ভাই জয়নাল খাঁয়ের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। জয়নালের খোঁজ পেতে তাই সাদে মানিককে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তৃণমূলের ছেলেরা। পুলিশ তাঁকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে ধাক্কা দিতে দিতে গাড়িতে তোলে। কোনও ঘটনায় অভিযুক্ত না হয়েও তাঁর বিরুদ্ধে এমন আচরণ নিয়ে প্রতিবাদ করছিলেন বৃদ্ধ। কিন্তু সে সব না শুনে তাঁকে গাড়িতে তুলে কিছুদূর নিয়ে গিয়ে নামিয়ে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যায় পুলিশ। তাঁরা গিয়ে দেখেন বৃদ্ধের জিভ বেরিয়ে এসেছে। কথা বলতে পারছেন না। তাঁরাই বৃদ্ধকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ময়না-তদন্তের পরে শনিবার সাদে মানিকের দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ দিনই তাঁর অন্ত্যেষ্টি হয়। বিকেল ৩টে থেকে আধ ঘণ্টা হরিণখোলায় পথ অবরোধ করে বিজেপি। সকালে বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে আরামবাগ শহরে মিছিল করে তৃণমূল।