বাসস্ট্যান্ডে বেশিক্ষণ বাস দাঁড় করিয়ে রাখায় এক বাস কন্ডাক্টরকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল মহকুমাশাসকের নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে দফায় দফায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বাসশ্রমিকেরা। অবরোধের জেরে যানজটে চরম নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষকে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সকালে ডায়মন্ড হারবার মহকুমায় ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে ডায়মন্ড হারবার বাসস্ট্যান্ডে। তবে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন সকাল ১০টা নাগাদ কলকাতা থেকে রায়দিঘিগামী একটি বাস ডায়মন্ড হারবার বাসমোড়ে আসে। যাত্রী ওঠনামা করার মধ্যেই ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসকের গাড়ি বাসের পিছনে চলে আসে। অফিসটাইমের কারণে যানবাহনের চাপ থাকায় রাস্তা উল্টোদিক দিয়ে আসা একাধিক গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। ফলে মহকুমাশাসকের গাড়ি ওভারটেক করতে পারছিল না। এ ভাবে বেশ কিছু সময় কাটার পর মহকুমাশাসকের নিরাপত্তারক্ষী গাড়ি থেকে নেমে এসে হঠাত্ই বাসের কন্ডাক্টর শান্তুনু ঘোষকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে বলে অভিযোগ। মারে জখম শান্তুনুবাবুকে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিত্সার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পরেই ঘটনা জানাজানি হলে ওই বাসটিকে রাস্তার উপর আড়াআড়ি করে রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন বাস শ্রমিকেরা। ফলে রাস্তার দু’দিকেই যানজটে আটকে পড়েন বহু মানুষ। ওই বাস ইউনিয়নের সম্পাদক মিন্টু তিওয়ারি বলেন, “ঘটনাটি দুঃখজনক।” দক্ষিণ ২৪ পরগনা বাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অশোক গায়েন বলেন, “ওই নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ায় এবং এমন ঘটনা আর হবে না বলায় আমরা ফিরে আসি।” ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা শাসক শান্তুনু বসু বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ। ওই বাসের সামনে অ্যাম্বুল্যান্স আটকে পড়ায় স্ট্যান্ড থেকে বাসটি ছাড়তে বলা হয়েছিল। কিন্তু গড়িমসি করায় আমার রক্ষীর সঙ্গে বচসা।”