সুপর্ণা মণ্ডল বড়ুয়া।
স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের পরে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পরেই স্বামী পালিয়ে গেলেও শ্বশুর-শাশুড়িকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে জগদ্দলের অবন্তীপুর মণ্ডল পাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম সুপর্ণা মণ্ডল বড়ুয়া (২৩)। তাঁর স্বামী সুমিত ওরফে ক্যালমা ওই এলাকায় সমাজবিরোধী হিসাবে পরিচিত। বছর তিনেক আগে পাশের পাড়া বুড়ি বটতলার বাসিন্দা সুপর্ণার সঙ্গে আলাপ হয় সুমিতের। বিয়ে করার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে বেশ কিছু দিন সুমিতের সঙ্গে লুকিয়ে ছিলেন সুপর্ণা। বছর দেড়েকের একটি ছেলেও আছে তাঁদের। সুপর্ণার বাবা অমর মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘বিয়ের পর থেকেই সুপর্ণার উপরে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে সুমিত। কিছু দিন আগে আমার মোটরবাইক নিয়ে গিয়ে জুয়ার ঠেকে বন্ধক দিয়ে এসেছিল। টাকা দিয়ে ছাড়িয়েছিলাম। তারপরে আমাকে ফোনে গালাগাল করে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। না দিলে খুনের হুমকিও দেয়।’’
ক্যালমা’র অত্যাচারে পাড়ার লোকও অতিষ্ঠ। এ দিনের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে এলাকার বাসিন্দারাই উত্তেজিত হয়ে ক্যালমার বাড়ি ভাঙচুর করে। প্রতিবেশী অনিমা নাহা বলেন, ‘‘মানসিক অত্যাচার করত মেয়েটার উপরে। আমরা বুঝতে পারলেও ওদের ব্যক্তিগত বিষয় বলে মাথা গলাতাম না।’’
প্রতিবেশীরা জানান, এ দিন সকালে সিলিং ফ্যান থেকে সুপর্ণার দেহ ঝুলছে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারাই পুলিশে খবর দেন। ততক্ষণে পালিয়ে গিয়েছে ক্যালমা। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে। অমরবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে এ দিন দুপুরে সুপর্ণার শ্বশুর সঞ্জয় বড়ুয়া ও শাশুড়ি সুচিত্রাদেবীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।