বল তুলতে গিয়ে পুকুরে তলিয়ে মৃত্যু অমিতের

আশেপাশের বাড়ির বাচ্চাদের সঙ্গে শনিবার বল নিয়ে খেলতে বেরিয়েছিল বছর ছ’য়েকের অমিত সর্দার। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি মন্দিরবাজারের চৌঘরি গ্রামের শিশুটি। তারপর, খোঁজ খোঁজ। যে পুকুরে বলটি ভাসতে দেখা গেল, শেষমেশ রবিবার সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে অমিতের নিথর দেহ। পুলিশের অনুমান, সাধের বলটি পুকুরে পড়ে যাওয়ায় ছোট্ট দু’টি হাত দিয়ে সেটি তোলার চেষ্টা করেছিল ছেলেটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মন্দিরবাজার শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:১৩
Share:

আশেপাশের বাড়ির বাচ্চাদের সঙ্গে শনিবার বল নিয়ে খেলতে বেরিয়েছিল বছর ছ’য়েকের অমিত সর্দার। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি মন্দিরবাজারের চৌঘরি গ্রামের শিশুটি। তারপর, খোঁজ খোঁজ। যে পুকুরে বলটি ভাসতে দেখা গেল, শেষমেশ রবিবার সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে অমিতের নিথর দেহ। পুলিশের অনুমান, সাধের বলটি পুকুরে পড়ে যাওয়ায় ছোট্ট দু’টি হাত দিয়ে সেটি তোলার চেষ্টা করেছিল ছেলেটি।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পাড়ার অন্য শিশুদের সঙ্গে বাড়ির পিছনের মাঠে বল খেলতে যায় প্রথম শ্রেণির ছাত্র অমিত। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে খেলা সেরে বাকিরা যে যার বাড়ি ফিরলেও সে ফেরেনি। তারপরেই পরিবারের লোকজন সারা গ্রামে তার খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু রাত অবধিও হদিশ মেলেনি। রবিবার দুপুরে মন্দিরবাজার থানায় তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অমিতের পরিবারের লোকজনকে বাড়ির আশপাশের পুকুরগুলিতে জাল ফেলে তল্লাশি চালাতে বলে। কনকনে ঠান্ডায় জলে নেমে প্রতিবেশীরা জাল নিয়ে বেশ কয়েকটি পুকুরে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে খোঁজ করেও হদিস পাননি। শেষে শিশুর বাড়ির পিছনের পুকুরে ভাসতে দেখা যায় একটি বল। সেখানে জাল ফেলতেই দেহ মেলে। নাইয়ারহাট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্‌সকেরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহ ময়না-তদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে পাঠায়।

Advertisement

এ দিকে, খবর এলাকায় রটতেই গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া নামে। অমিতের দাদু‌ স্বপন সর্দার এ দিন জানালেন, অমিত সাঁতার জানত না। যে পুকুর থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সে দিকে এলাকার মানুষ বিশেষ যাতায়াত করেন না। পুকুরে বল ভাসতে দেখে সেখানে জাল ফেলা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কোনও ভাবে পুকুরে বল পড়ে যাওয়ায় তা তুলতে গিয়েই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

অন্য দিকে পুকুর থেকে এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ফলতার সহরারহাট বাজারের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তম দলুই (৪৮) নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি স্থানীয় জগন্নাথপুর আতশাসন গ্রামে। ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাজারে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। দিনমজুর উত্তমবাবু ওই দিন রাত থেকেই নিখোঁজ। তারপর থেকে এলাকায় খোঁজাখুজি করেও হদিস না পাওয়ায় ২৭ ডিসেম্বর ফলতা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের লোকজন। এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ওই বাজারের কাছে একটি পুকুরে তাঁর দেহটি ভাসতে দেখেন বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় বাড়িতে। খবর যায় পুলিশের কাছেও। মৃতের দাদা গৌতম দলুই জানান, ভাই নিখোঁজ হওয়ার পরে উদ্ধারের জন্য ক’দিন ধরেই ছবি নিয়ে মাইকে প্রচার চালান হচ্ছিল। পুলিশের অনুমান, মদ্যপ অবস্থায় পুকুরে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহ ময়না-তদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন