মেয়ের গর্ভ নষ্টের অভিযোগে প্রহৃত বাবা

গর্ভজাত সন্তানকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে মেয়ের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বাবাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল জনতা। গুরুতর আহত সোহারফ আলি মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা থানার যাদবপুর গ্রামে। বসিরহাটের দুর্গাবাটি গ্রামে সোহারফের বাড়িতে যেহেতু ঘটনার সূত্রপাত, সে জন্য তাকে পরে বসিরহাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:২৮
Share:

গর্ভজাত সন্তানকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে মেয়ের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বাবাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল জনতা। গুরুতর আহত সোহারফ আলি মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা থানার যাদবপুর গ্রামে। বসিরহাটের দুর্গাবাটি গ্রামে সোহারফের বাড়িতে যেহেতু ঘটনার সূত্রপাত, সে জন্য তাকে পরে বসিরহাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের দুর্গাবাটি গ্রামের বাসিন্দা পেশায় শিকড় বিক্রেতা সোহারফের তিনটি বিয়ে। তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর বাড়ি দেগঙ্গার যাদবপুর গ্রামে। বর্তমানে তার দ্বিতীয় পক্ষের মেয়ে দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। দিন তিনেক আগে বেঁকির শ্বশুরবাড়ি থেকে দুর্গাবাটি গ্রামে তিনি মেলা দেখতে আসেন।

ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলার অভিযোগ, “বাবার স্বভাব চরিত্রের বিশেষ সুনাম নেই। একের পর এক বিয়ে করে যৌতুকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর বৌদের তাড়িয়ে দিত। এ দিন ভোরে আমি ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। সেখানে এসে বাবা হঠাৎ মশারির মধ্যে ঢুকে আমার হাত ধরে টানাটানি শুরু করে। পেটের বাচ্চাটাকে নষ্ট করে ফেলার জন্য সমানে আমার উপর জোর খাটাতে থাকে। ঘটনার কথা কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।”

Advertisement

পুলিশ জানায়, ওই মহিলা কোনও রকমে বাবার হাত ছাড়িয়ে ঘর থেকে পালান। পাশের কাঁকড়া-মির্জানগর স্টেশনে মাকে গিয়ে সব বলায়। এর পর সোহরাফের প্রতিবেশীদের এবং দেগঙ্গায় নিয়ে গিয়ে মহিলার মামার বাড়ির লোকেদের গণপিটুনির পর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এ দিন আদালতের পথে সোহারফের বক্তব্য, “মেয়ের হাত ধরে টেনে কথা বলতে গেলেও আমার খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না।”

ব্যাঙ্কের ভল্ট ভেঙে ডাকাতি

নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট

মন্দির, দোকান এবং গৃহস্থের বাড়িতে চুরি হচ্ছিল প্রায় প্রতিদিন। বসিরহাটের কোনও না কোনও এলাকায় যাত্রীদের মারধর করে কিংবা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ছিনতাই করছিল দুষ্কৃতীরা। সোমবার গভীর রাতে মিনাখাঁর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখার দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ভল্ট ভেঙে লুঠপাট চালিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে ঘটনার কথা জানাজানি হলে ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে খবর দেওয়া হয়। ম্যানেজার জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা ভল্ট ভাঙলেও তার ভেতরে থাকা প্রায় ২০ লাখ টাকা নিয়ে পালাতে পারেনি। বুঝতে না পেরে তারা ভল্টের একটি জায়গা থেকে ১০-৫ টাকার বান্ডিল মিলিয়ে এক লাখের মতো টাকা নিয়ে পালিয়েছে। মিনাখাঁ থানার ওসি তুষারকান্তি বিশ্বাস বলেন, “ব্যাঙ্কটিতে নৈশপ্রহরী নেই। গোপন ক্যামেরা কিংবা অ্যালার্মেরও ব্যবস্থা ছিল না। ফলে দুষ্কৃতীরা দরজা এবং ভল্ট ভাঙলেও বাইরের কেউ কোনও শব্দ পাননি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন