মইদুলকে দেখে গেলেন আর এক প্রহৃত শিক্ষক

কুলপির প্রাথমিক স্কুলে ‘প্রহৃত’ শিক্ষক মইদুল ইসলামকে মঙ্গলবার হাসপাতালে দেখতে এলেন গৌতম মণ্ডল। কাকদ্বীপের ওই শিক্ষকও কিছু দিন আগে প্রহৃত হয়েছিলেন স্কুল চত্বরেই। গৌতমবাবু বলেন, “শিক্ষকদের উপরে আক্রমণের এই ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কুলপি শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৫ ০০:৫২
Share:

কুলপির প্রাথমিক স্কুলে ‘প্রহৃত’ শিক্ষক মইদুল ইসলামকে মঙ্গলবার হাসপাতালে দেখতে এলেন গৌতম মণ্ডল। কাকদ্বীপের ওই শিক্ষকও কিছু দিন আগে প্রহৃত হয়েছিলেন স্কুল চত্বরেই।

Advertisement

গৌতমবাবু বলেন, “শিক্ষকদের উপরে আক্রমণের এই ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়। গত ২৬ জানুয়ারি আমার উপরেও একই ভাবে আক্রমণ করেছিল শাসকদলের গুন্ডারা।” ‘আক্রান্ত আমরা’র সদস্য মইদুলের সঙ্গে এ দিন দেখা করেন ওই সংগঠনের আর এক সদস্য সহিদুল লস্কর এবং বিজেপির শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কার্তিকচন্দ্র হালদার।

কুলপি থানার হটুগঞ্জ হেলেগাছি এফপি প্রাথমিক স্কুলে সোমবার স্কুলবাড়ি তৈরির ১২ লক্ষ টাকার হিসেব নিয়ে গোলমাল বাধে। ঝামেলার জেরে শিক্ষকদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ক্লাবের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই স্কুল বন্ধ। এ দিন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অরুন্ধতী হালদার বলেন, “আজ স্কুলে যেতে পারিনি। ওরা শিক্ষকদের কাছ থেকে ২ লক্ষ‌ টাকা না পেলে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে। সে কারণে ভয় পাচ্ছি।” নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় এ দিন স্কুলে যাননি শিক্ষকরা। ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হাসপাতাল সূত্রের খবর, মইদুলের অবস্থা স্থিতিশীল।

Advertisement

এই ঘটনায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা মাপিয়া বিবির স্বামী তথা ওই ক্লাবের কর্মকর্তা হোসেন পুরকাইত জড়িত বলে ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও অভিযুক্তেরা দাবি করেছেন, স্কুলফান্ডের কিছু টাকার হিসেব নিয়ে কথা হলেও শিক্ষকদের সঙ্গে ঝামেলা হয়নি। মারধরও করা হয়নি কাউকে।

মইদুল এ দিন বলেন, “টাকার হিসেব নিশ্চয় দেব, তবে আমাদের সময় দিতে হবে।” সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা প্রকল্প আধিকারিক দীপায়নকুমার দাস বলেন, “আমি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। তবে প্রথা মেনে, সরকারি কোনও কমিটি হিসেব চাইলে স্কুলের তা দেখানো উচিত। এটাই স্বচ্ছতার লক্ষণ।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন