ডায়মন্ড হারবার রোড

স্কুলের সামনেই অবরোধে মা-বাবারা

স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে এসে পথ অবরোধ করে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে ফেললেন খোদ অভিভাবকেরা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার বড়িশা হাইস্কুলের সামনে ডায়মন্ড হারবার রোডে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কিছু অভিভাবক পঞ্চম শ্রেণির ভর্তি প্রক্রিয়ায় দেরি নিয়ে স্কুল-কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:১৯
Share:

স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে এসে পথ অবরোধ করে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে ফেললেন খোদ অভিভাবকেরা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার বড়িশা হাইস্কুলের সামনে ডায়মন্ড হারবার রোডে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কিছু অভিভাবক পঞ্চম শ্রেণির ভর্তি প্রক্রিয়ায় দেরি নিয়ে স্কুল-কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। এ দিকে, সকালে প্রাথমিক বিভাগের ক্লাসের জন্য সময় মতো স্কুলের গেট খোলা হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্কুলের সামনে উপস্থিত সমস্ত অভিভাবক। তার জেরেই এ দিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ডায়মন্ড হারবার রোড অবরোধ করেন তাঁরা। ফলে দুপুর পর্যন্ত স্কুলের সামনে ওই রাস্তায় ব্যাপক যানজট হয়। আর তারই জেরে প্রবল ভোগান্তি হয় সাধারণ মানুষের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়িশা হাইস্কুলে প্রাথমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক— এই দু’টি বিভাগই রয়েছে। এ দিন সরস্বতী পুজোর জন্য প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষিকা দু’টি ক্লাসরুম বন্ধ করে রাখেন। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় সকালে এসে অভিভাবকেরা দেখেন, স্কুলের গেটও বন্ধ। ফলে প্রাথমিক স্কুলের অনেক পড়ুয়াই ভিতরে ঢুকতে পারেনি। তাদের দীর্ঘক্ষণ বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আর তার ফলেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অভিভাবকেরা। তাঁরা স্কুলের ভিতরে ঢুকে টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চ ভাঙচুর শুরু করেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

পরে স্কুল থেকে বেরিয়ে এসে ডায়মন্ড হারবার রোডে গিয়ে অবরোধ করেন তাঁরা। পুলিশ বারংবার সরিয়ে দিলেও তাঁরা দফায় দফায় ওই রাস্তা অবরোধ করেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ ভাবেই অবরোধ চলতে থাকে। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে চলে আসেন স্থানীয় ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মানিক চট্টোপাধ্যায়। পরে অবশ্য প্রধান শিক্ষিকা এসে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন