সাহস থাকলে প্রতিবাদ করুন তৃণমূল প্রার্থী, বললেন রাহুল

তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে শাসক দলকে এক হাত নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৪ ০২:০৭
Share:

বসিরহাটে সভায় দলের প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ।

তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে শাসক দলকে এক হাত নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বসিরহাটের রবীন্দ্রভবনে দলের সভায় এসে রাহুলবাবু বলেন, “বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রে এক জন ফুটবলারকে টিকিট দিয়ে যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ফুটবলের উন্নতি করতে চাইছেন, সে সময়ে কলকাতায় যুবভারতীতে যুব তৃণমূলের মিটিংয়ের জন্য মোহনবাগানের খেলা বন্ধ হয়ে গেল। আসলে উনি চাইছেন খেলার মাঠে মিটিং হোক, আর রাস্তায় খেলা।” এরপরেই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী দীপেন্দু বিশ্বাসের নাম না করেও তাঁর প্রতি বিজেপি নেতার বার্তা, “সাহস থাকলে এখানকার প্রার্থীর প্রতিবাদ করে টিকিট প্রত্যাহার করা উচিত।”

যার প্রতিক্রিয়ায় দীপেন্দু পরে বলেন, “সকলেরই নিজস্ব মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী যে সততা ও আদর্শ নিয়ে আমাকে প্রার্থী করেছেন, আমি জয়ী হলে এখানকার ফুটবল ও মানুষের উন্নয়ন করব।”

Advertisement

এ দিন টাকিতে সভা সেরে বসিরহাটে আসতে কিছুটা দেরি হয় রাহুলবাবুর। যদিও দলের কর্মী-সমর্থকেরা দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করেন নেতার জন্য। ভিড় দেখে খুশি বিজেপি নেতা জানান, চৌরঙ্গী এবং বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভাবে ভোটগ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে ইতিমধ্যেই আধা সামরিক বাহিনী চাওয়া হয়েছে। রাহুলবাবুর কথায়, “তৃণমূল চাইছে সিপিএমের গুন্ডা-মস্তান দিয়ে ভোট করতে। মনে রাখতে হবে সিপিএম গুন্ডা-বদমাইশদের নিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে পথে বসেছে। এ বারে তৃণমূলেরও সেই দশা হবে।” এই প্রসঙ্গেই সারদা-কাণ্ডের কথা এসে পড়ে রাহুলবাবুর বক্তব্যে। ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক রেজাউল করিমকে সিবিআইয়ের জেরা নিয়ে বিজেপি নেতার কটাক্ষ, “অনেক রথী-মহারথী জেলে যাবে। উৎপাতের সরকার চিৎপাত হবে।”

বসিরহাটের সভাতেই দীপেন্দুর প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করা উচিত বলেন রাহুস সিংহ। তৃণমূল প্রার্থী
বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে রাজি নন। দিনের অনেকটা সময় ফুটবল খেলে কাটালেন। প্রচারও সেরেছেন।

দলের প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যকে পাশে নিয়ে সভায় রাহুলবাবু বলেন, “২০১৬ সালে তৃণমূলকে রাজ্য থেকে বিতাড়িত না করলে বাংলা ধ্বংস হয়ে যাবে। যখন বুঝেছেন, হাজার চেষ্টা করেও সিবিআইকে রোখা যাবে না, সবে একটা-দু’টো উইকেট পড়েছে। এ বারে বড় ব্যাটসম্যানদের পালা। এর-ওর কোমরে দড়ি পরানোর কথা বলা মানুষগুলোর নিজেদের কোমরের মাপ নেওয়া শুরু হয়েছে।”

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক হাত নিয়ে রাহুলবাবু বলেন, “উনি চিৎকার করে বলছেন, বিজেপি নাকি সিপিএমের উচ্ছিষ্ট নিচ্ছে। তা হলে কি বিজেপিতে যোগদান দেখে ওঁর রাতের ঘুম উবে গিয়েছে? সে জন্যই বিমান বসুকে নেত্রী জিজ্ঞাসা করছেন, আপনার লোক কেন বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে?’’ রাহুলবাবুর কথায়, “দুর্নীতিতে ভরে যাওয়া তৃণমূল বারুদের স্তূপের উপরে বসে আছে। যে কোনও মুহূর্তে ফাটতে পারে। কারণ, ওদের একটাই নীতি। কেবল খাও। সততার প্রতিমূর্তি এখন সারদার প্রতিমূর্তিতে পরিণত হয়েছে।” সিভিক পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে বেকার ছেলেমেয়েদের প্রতারণা করা হয়েছে বলেও তাঁর অভিযোগ।

ছবি: নির্মল বসু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন