হাসপাতালে দাঁড়ানো ট্রাকে যুবকের দেহ

বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের দেহ। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ বিষয়টি জানাজানি হয়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম সুব্রতকুমার দে ওরফে শুভ (২৬)। বাড়ি স্থানীয় খয়রামারি এলাকার নাগপাড়ায়। তাঁর মা কেয়াদেবী ছেলেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন এক যুবকের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:২০
Share:

শোকার্ত মা-বাবা।

বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের দেহ। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ বিষয়টি জানাজানি হয়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম সুব্রতকুমার দে ওরফে শুভ (২৬)। বাড়ি স্থানীয় খয়রামারি এলাকার নাগপাড়ায়। তাঁর মা কেয়াদেবী ছেলেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন এক যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, “দেহের ময়না-তদন্ত এখানে সম্ভব নয়। তাই কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুব্রত দীর্ঘদিন ট্রাকে খালাসির কাজ করেতেন। কিছু দিন আগে থেকে ট্রাক চালানোও শুরু করেন। বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় গোবরাপুর এলাকার বাসিন্দা এক ট্রাক চালক মোবাইলে ফোন করে বাড়ি থেকে শুভকে ডেকে নিয়ে যান।

মঙ্গলবার শুভ বাড়ি না ফেরায় ওই ট্রাক চালকের ফোনে যোগাযোগ করেন। ফোন ধরেন ওই যুবক। কেয়াদেবী বলেন, “ফোনে সে বলে, কিছু ক্ষণের মধ্যে শুভকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু ছেলে বাড়ি ফেরেনি। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ একটি ছেলে বাড়িতে এসে জানায়, তাকে ট্রাকের মালিক পাঠিয়েছে। শুভ মৃত অবস্থায় ট্রাকের মধ্যে পড়ে রয়েছে। ট্রাকটি হাসপাতালের মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে।” হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ট্রাকের কেবিনের সিটের উপরে শুভ মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাঁর নাক-কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলাও বেরোচ্ছিল।

Advertisement

আটক ট্রাক চালকের কথায়, “মঙ্গলবার রাতে বনগাঁ শহরের ১ নম্বর রেলগেট এলাকায় যশোহর রোডের পাশে ট্রাকটি ছিল। ট্রাকে শুভ ঘুমিয়েছিল। আমি ফিরে যাই। ভোর ৪টে নাগাদ ট্রাকে ফিরে এসে শুভকে ডাকাডাকি করি। কিন্তু সে কোনও সাড়া না দেওয়ায় কেবিনের ছিটকিনি ভেঙে ঢুকে দেখি, শুভ কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে। তার কান-নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।” ওই যুবকের দাবি, তিনিই ঘটনার খবর সকলকে দেন। ট্রাকটি হাসপাতালেও নিয়ে যান। কিন্তু মৃত্যুর বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই।”

শুভর মা অবশ্য পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ওই যুবক ও তার সহযোগীরাই শুভকে মেরে ফেলেছে।” পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভকে কিছু দিন ধরেই ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমবার ওই ট্রাকে বনগাঁ থেকে পাট-বোঝাই করে কলকাতায় যান শুভ। রাতে ট্রাক ১ নম্বর রেলগেট এলাকায় ছিল না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন