Congress

Tapan Kandu: তপন কান্দু খুনে দাদা নরেন-সহ গ্রেফতার ২

নরেনের স্ত্রী বাবি কান্দুর সঙ্গে এ দিন সন্ধ্যায় ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। বাড়িতে ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলেনি। জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার বক্তব্য, ‘‘আমরা আগেও বলেছি, প্রকৃত সত্য সামনে আসুক। এখন শুনছি, পারিবারিক বিবাদে এই ঘটনা। আশা করছি, শীঘ্রই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’’

Advertisement

প্রশান্ত পাল, দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়

পুরুলিয়া, ঝালদা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২২ ০৫:৪৮
Share:

ফাইল চিত্র।

প্রায় তিন সপ্তাহ পরে, পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে তাঁর দাদা নরেন কান্দুকে গ্রেফতার করল জেলা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। শনিবার নরেন ছাড়াও, মহম্মদ আসিদ খান নামে আর এক জনকে ধরা হয়েছে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন এ দিন বলেন, ‘‘জিজ্ঞাসাবাদের পরে, দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার তাঁদের আদালতে তোলা হবে। পারিবারিক সমস্যার জেরেই খুন বলে মনে করা হচ্ছে।’’ যদিও নিহতের স্ত্রী পূর্ণিমার দাবি, খুনের কারণ রাজনৈতিক।

Advertisement

১৩ মার্চ বিকেলে তপন খুন হওয়ার পরেই, নরেনের ছেলে দীপক কান্দুকে ধরে পুলিশ। পুরভোটে ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডে তপনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন দীপক। বৃহস্পতিবার রাতে ঝাড়খণ্ডের জরিডি থানা এলাকা থেকে কলেবর সিংহ নামে এক জনকে ধরা হয়। ‘সিট’ সূত্রের দাবি, কলেবরকে জেরা করে সূত্র পেয়ে, শুক্রবার নরেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। সে দিন পুরুলিয়া শহর থেকে ঝালদায় ফেরার পথে, রাস্তা থেকেই তাঁকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। টানা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে এবং ঝালদার কুটিডি গ্রাম থেকে মহম্মদ আসিদ খানকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপারের দাবি, ‘‘দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক সমস্যা অনেক দিনের। তিন-চার বছর ধরে নরেন তপনকে খুনের চেষ্টা করছিলেন। সে কাজে আসিদকে ব্যবহার করেন। আসিদ ও কলেবর পূর্ব পরিচিত। সাত-আট বছর আগে দু’জনেই ঝালদায় থাকতেন। খুন করার জন্য আসিদ ও কলেবরের সাহায্য নেন নরেন। কলেবরই খুনের মূল পরিকল্পনা করেন।’’

Advertisement

যদিও পারিবারিক সমস্যার কারণে এই খুন, এ কথা মানতে নারাজ পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো। তাঁর দাবি, ‘‘স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে আমি জানি, এই দুই পরিবারের সমস্যা দীর্ঘদিনের। কিন্তু ঠিক পুরভোটের পরেই তপন খুন হল। দীপক তপনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী ছিল। নরেনও ছেলেকে জেতাতে ময়দানে নেমেছিল। রাজনৈতিক কারণকে পারিবারিক বিবাদ বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে কি না, দেখতে হবে। কার মদতে খুনের পরিকল্পনা করা হয়, সেটাও স্পষ্ট হওয়া দরকার। তাই আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছি।’’

খুনের পরে পূর্ণিমা পুলিশের কাছে যে অভিযোগপত্র দেন, তাতে দীপক ও নরেনের নাম ছিল। নরেনকে গ্রেফতারের পরে, পূর্ণিমার দাবি, ‘‘এই ঘটনার পিছনে ও একা নয়, আরও অনেকের হাত ও মাথা রয়েছে। ওরা তো তৃণমূলেরই সক্রিয় সদস্য। এটা কোনও মতেই পারিবারিক ঘটনা নয়। রাজনৈতিক কারণেই খুন। এর পিছনে ষড়যন্ত্র আছে। সিবিআই তদন্ত হলেই তা স্পষ্ট হবে।’’

নরেনের স্ত্রী বাবি কান্দুর সঙ্গে এ দিন সন্ধ্যায় ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। বাড়িতে ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলেনি। জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার বক্তব্য, ‘‘আমরা আগেও বলেছি, প্রকৃত সত্য সামনে আসুক। এখন শুনছি, পারিবারিক বিবাদে এই ঘটনা। আশা করছি, শীঘ্রই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন