—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সোমবার মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষার দিনেও মোবাইল-সহ ধরা পড়ল চার জন। দু’জন পরীক্ষার্থী দক্ষিণ ২৪ পরগনার। এক জন উত্তর দিনাজপুর ও এক জন কোচবিহারের। খাতা ছিঁড়ে ফেলায় উত্তর দিনাজপুরের এক পরীক্ষার্থীকে আরএ (রিপোর্টেড এগেনস্ট) করা হয়েছে। আগে বাংলা পরীক্ষায় এক জন ও ইংরেজি পরীক্ষায় ছ’জনের কাছে মোবাইল মিলেছিল। এ পর্যন্ত মোট ১৪ জন পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল পাওয়া গেল।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোবিন্দপুর কালীচরণ হাইস্কুলের দুই পরীক্ষার্থী এ দিন মাথুর জাতিরাম মেমোরিয়াল হাইস্কুলে পরীক্ষা দেওয়ার সময় তাদের কাছে মোবাইল মেলে। উত্তর দিনাজপুরে হিন্দি হাইস্কুল ডালখোলার এক পড়ুয়া ডালখোলা গার্লস হাইস্কুলে পরীক্ষা দেওয়ার সময় তার কাছে মোবাইল ফোন মেলে। কোচবিহারের ইলাদেবী গার্লস হাইস্কুলের এক পরীক্ষার্থীর আসন তুফানগঞ্জ নৃপেন্দ্র নারায়ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুলে ছিল। তার কাছেও পরীক্ষার সময় মোবাইল মিলেছে। এই তিন জনের সব পরীক্ষা বাতিল করেছে পর্ষদ।
অঙ্ক পরীক্ষায় খাতা ছিঁড়ে ফেলায় আরএ করা হয়েছিল এক পরীক্ষার্থীকে। ইতিহাস পরীক্ষাতেও উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া হাই স্কুলের এক পরীক্ষার্থী খাতা ছিঁড়ে ফেলায় তাকেও আরএ করা হয়েছে। তবে তার সব পরীক্ষা বাতিল হয়নি। ওই পরীক্ষার্থীর খাতা এ বার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আরএ কমিটির কাছে পাঠানো হবে। তার খাতা কী করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি।
এ বারের মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে কিছু প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। পাঠ্যক্রমের বাইরের প্রশ্ন এসেছে, রাশিবিজ্ঞানের একটি অঙ্ক ভুল ছিল বলে দাবি করেছিল কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিশেষজ্ঞ কমিটি এ দিন জানিয়েছে, প্রশ্নপত্র খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। কোনও প্রশ্নে ভুল ছিল না। পাঠ্যক্রমের বাইরে থেকে কোনও প্রশ্ন আসেনি। দু’টি প্রশ্ন কঠিন হয়েছে। ওই দু’টি প্রশ্নের মোট নম্বর ৫। পর্ষদ জানিয়েছে, এই দু’টি প্রশ্ন পদ্ধতি মেনে করলেই পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে মূল্যায়ন করা হবে। পরীক্ষার্থীরা বঞ্চিত হবে না।