Diamond Harbour Murder Case

ছিনতাইয়ে বাধা পেয়ে গুলি করে খুন! ডায়মন্ড হারবারের ঘটনার ৭ দিন পর গ্রেফতার ৬ অভিযুক্ত

গত ১১ মে সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার পানাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায় ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় গুলিবিদ্ধ হন গোবিন্দ পাঁজা নামে ৩২ বছরের এক স্থানীয় যুবক। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৫ ২১:১৮
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৩২ বছরের এক যুবকের। ঘটনার সাত দিন পরে ছয় সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ছিনতাই এবং খুনের মামলা রুজু হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১১ মে সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার পানাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায় ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় গুলিবিদ্ধ হন গোবিন্দ পাঁজা নামে ৩২ বছরের এক স্থানীয় যুবক। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্য দিকে, গোবিন্দর উপর গুলি চালিয়ে অভিযুক্তেরা বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দেয়। ঘটনার তদন্তে নেমে সোমবার পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ওই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না, খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

ওই খুন এবং ছিনতাইয়ের ঘটনার তদন্তে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে-র নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল তৈরি হয়। ওই দলটি টানা তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েক জনকে পাকড়াও করেছে। সোমবার ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের নাম সৌরভ মণ্ডল। ওই ব্যক্তি সেদিন গুলি চালিয়েছিল গোবিন্দর উপর। পুলিশ জানিয়েছে, এর আগে ধৃত ব্যক্তি নিজের বান্ধবী এবং ঠাকুরমাকে খুনের অভিযোগে জেলে ছিল। পরে ছাড়া পায়। গত ১১ মে-র ঘটনায় সেই ‘মূল চক্রী’ বলে মনে করছে পুলিশ। ধৃতের কাছ দুটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছিনতাই হওয়া নগদ ১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার দিন শঙ্কর ধাড়া নামে এক ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই করে কয়েক জন দুষ্কৃতী। তাদের বাধা দিতে গেলে গুলি চলে। দুষ্কৃতীদের আটকাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন গোবিন্দ। অভিযুক্তদের সকলের মুখে মাস্ক থাকায় তাদের চিহ্নিত করতে পারেননি স্থানীয়দের কেউ। তা ছাড়া ছিনতাইয়ের কয়েক মিনিটের মধ্যে বাইকে চেপে পালায় দুষ্কৃতীরা। গোবিন্দকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ছ’জনের মধ্যে পাঁচ জনকে হেফাজতে নিয়েছে তারা। তবে এক অভিযুক্ত শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকায় আদালতের অনুমতিক্রমে তাকে হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement