বেতন নেই, বিপাকে ৬০ হাজার শিক্ষক

তিন মাসের বেতন পাননি রাজ্যের মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র (এমএসকে) এবং শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের (এসএসকে) প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক। বেতনের দাবিতে ইতিমধ্যে তাঁরা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

Advertisement

নুরুল আবসার

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:৪৯
Share:

তিন মাসের বেতন পাননি রাজ্যের মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র (এমএসকে) এবং শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের (এসএসকে) প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক। বেতনের দাবিতে ইতিমধ্যে তাঁরা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

Advertisement

রাজ্যে প্রায় ১৬ হাজার শিশু শিক্ষাকেন্দ্র আছে। এখানে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র আছে ১৯০০। এখানে পড়ানো হয় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। দু’ধরনের প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক আছেন। সমস্যার কথা মেনে নিয়ে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই শিক্ষকদের বেতনের টাকা দেয় শিক্ষা দফতর। এ বাবদ কোনও টাকা তারা এখনও দেয়নি। তার ফলেই ওই শিক্ষকদের বেতন দিতে পারছি না।’’ রাজ্যের শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, এই শিক্ষকদের বেতনের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার সর্বশিক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁদের হাতে দেয়। কিন্তু ডিসেম্বর মাস থেকে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। তার ফলেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সর্বশিক্ষা অভিযান বিভাগের এক অধিকর্তা বলেন, ‘‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট সম্পর্কিত কিছু তথ্যগত ত্রুটির জন্য কয়েকটি রাজ্যে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে ওই ত্রুটির ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

দু’ধরনের স্কুলেই শিক্ষকদের বেতনের টাকা, মিড-ডে মিলের খরচ, বইপত্র, ছাত্রছাত্রীদের পোশাক— সব কিছুর জন্যই কেন্দ্র সরকার টাকা দেয় সর্বশিক্ষা প্রকল্পে। ওই টাকা প্রথমে আসে রাজ্য শিক্ষা দফতরে। তারা টাকা দেয় সর্বশিক্ষা মিশনে। মিশন আবার টাকা দেয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরকে। তার পর জেলা পরিষদের মাধ্যমে শিক্ষকদের বেতন ও আনুষঙ্গিক খরচ স্কুলগুলিকে দেয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। এই দফতর সূত্রের খবর, শেষ টাকা পাওয়া গিয়েছিল নভেম্বরে। ওই মাসেই এসএসকে এবং এমএসকেগুলির শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের বেতন তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপর থেকে আর টাকা আসেনি। ফলে, শিক্ষকেরা দু’মাসের বেতন পাননি।

‘এসএসকে-এমএসকে যৌথ সংগ্রাম কমিটি’র সভাপতি মহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘‘আগে এমন হয়নি। সংসার চালানোই দায়!’’ এসএসকে ও এমএসকে-এর ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অন্য খাত থেকে অন্তত এক মাসের বেতন দেওয়া যাবে। তার পরে জানি না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement