budgebudge

বজবজে মাঝগঙ্গায় তলিয়ে গেল ভিন্‌দেশি বার্জ, নিরাপদে নাবিকরা

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই সময়ে উল্টো দিক থেকে আসা অন্য একটি বার্জের সঙ্গে আচমকা সংঘর্ষ হয় মমতাময়ী মা-এর। ধাক্কার জেরে এক দিকে কাত হয়ে যায় জলযানটি। জল ঢুকতে শুরু করে বার্জে। ঠিক একই সময় নদীতে প্রবল বেগে বান আসায় জলের স্রোতে আরও দ্রুত বার্জটি ডুবতে শুরু করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২০ ১৩:১৫
Share:

ধাক্কার জেরে এক দিকে কাত হয়ে যায় বার্জটি, ঢুকতে শুরু করে জল—নিজস্ব চিত্র।

দুই বার্জের মধ্যে সংঘর্ষ। তার জেরে হুগলি নদীতে ডুবে গেল একটি বাংলাদেশি বার্জ। বৃহস্পতিবার সকালে বজবজের কাছে ফ্লাই অ্যাশ বোঝাই ওই বার্জটি ডুবে যায়। স্থানীয় মাঝিদের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের রিভার ট্রাফিক পুলিশ যৌথ ভাবে অতি তৎপরতায় ওই বার্জের নাবিকদের উদ্ধার করেছে। ডুবে যাওয়া বার্জে কেউ আটকে রয়েছেন, এমন কোনও খবর নেই।

Advertisement

তবে কেউ আটকে আছেন কি না তা নিশ্চিত হতে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানরা তল্লাশি শুরু করেছেন।

কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ‘এম ভি মমতাময়ী মা’ নামের ওই পণ্যবাহী বাংলাদেশি বার্জটি কলকাতা বন্দরের দিকে আসছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই সময়ে উল্টো দিক থেকে আসা অন্য একটি বার্জের সঙ্গে আচমকা সংঘর্ষ হয় মমতাময়ী মা-এর। ধাক্কার জেরে এক দিকে কাত হয়ে যায় জলযানটি। জল ঢুকতে শুরু করে বার্জে। ঠিক একই সময় নদীতে প্রবল বেগে বান আসায় জলের স্রোতে আরও দ্রুত বার্জটি ডুবতে শুরু করে।

Advertisement

আরও খবর: ভুল নয়, বানানের হেরফেরে কাটা হবে না নম্বর

কলকাতা পুলিশের রিভার ট্রাফিকের স্পিডবোট ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ১৩ জন নাবিককে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও মাঝ নদীতে বার্জের ডোবা আটকানো সম্ভব হয়নি।

পরে অন্য জাহাজের সাহায্যে ডুবে যাওয়া বার্জটিকে পাড়ে টেনে আনা হয়। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কলকাতা বন্দরের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা খবর পেয়েছি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ঠিক কী কারণে বার্জটি ডুবে গেল।”

আরও খবর: আগামী ২৪ ঘণ্টা কলকাতা-সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সতর্কতা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন